![]() |
ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের সাড়ে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল শনিবার এ অনুদানের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অনুদানের অর্থে রোহিঙ্গাদের মৌলিক সেবা সরবরাহ করার পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে, যা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণেরও উপকারে আসবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন বলেন, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় এবং তাদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কারণে দেশটির উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় অবকাঠামো, সেবা এবং সরকারি সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুদানের অর্থে গ্রহণ করা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং ক্যাম্পগুলোতে বসবাসকারীদের জীবনমান উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে আমাদের বর্তমান এবং নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘ইমারজেন্সি মাল্ট্রি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে স্থানীয় জনগণ যা তার প্রায় তিনগুণ মানুষ বসবাস করছে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অবকাঠামো এবং স্থানীয়দের মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে। তাছাড়া স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যাবে। এক কথায় বলা যায়, বিভিন্ন খাতের নানা রকমের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে সাইক্লোন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রাস্তা, ফুটপাত ড্রেইন ইত্যাদি কাজ করা হবে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তাদের উন্নয়নের পাশাপাশি এমন কতগুলো অবকাঠামো তৈরি করা হবে যেগুলো স্থানীয়দের কাজে আসবে।
সূত্র জানায়, গত বছরের জুন মাসে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের সহায়তা ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তারও আগে সাড়ে সাত কোটি ডলারের অনুদান দিয়েছিল রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাংকের টিম লিডার সোয়ারনা কাজী বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক নারী ও কিশোরী। তারা বিভিন্ন সহিংসতা ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে যেসব সাইক্লোন আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে সেগুলো নারী ও শিশুবান্ধব করে তৈরি করা হবে। বিশেষ করে টয়লেট এবং রান্নার ব্যবস্থা রাখা হবে। তাছাড়া নারীদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তায় বাতির ব্যবস্থা করা হবে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: