স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনঃতফসিলের দাবিতে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন ভোট বর্জনকারী পাঁচ প্যানেলের নেতারা। পাশাপাশি তারা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সবার পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের নামে দেয়া মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
দাবি না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার টিএসসিতে নূর ও শোভনের কোলাকুলির পর বিকালের দিকে ক্যাম্পাসের পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলেও বুধবার সকাল থেকেই অবস্থা পাল্টাতে থাকে। পাঁচটি প্যানেলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেন। বিভিন্ন হলে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিতরাও ভোট বাতিল করে পুনঃতফসিলের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা রোকেয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন। আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে নামেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
অবশ্য ছাত্রলীগ এদিন কোনো মিছিল করেনি। তারা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করেন। এদিকে পাঁচটি প্যানেলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ৩১ মার্চের মধ্যে ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নূরুল হক নূর। এছাড়া নির্বাচন বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন অব্যাহত রেখেছেন ৬ শিক্ষার্থী। বুধবার রাতে চার দফা দাবিতে রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রীও হল গেটে আমরণ অনশন শুরু করেন।
ছাত্রদলসহ আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমও তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।কারচুপির অভিযোগে দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত সোমবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রলীগ ছাড়া অংশগ্রহণকারী ছাত্রদলসহ সব প্যানেল। এরপরও নির্বাচন চলে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফল ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে কোটা আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নূরুল হক নূর ভিপি নির্বাচিত হন। এছাড়া জিএস, এজিএসসহ ২৩ পদে জয়লাভ করে ছাত্রলীগ।সোমবার দুপুর থেকে পাঁচ প্যানেলসহ বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা ভোট বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলন বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
এদিন আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেন। বুধবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের অবস্থা ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর ছাত্রলীগ বাদে ভোট বর্জনকারী ডাকসুর পাঁচটি প্যানেল পুনঃনির্বাচন চেয়ে দুপুরে ভিসিকে স্মারকলিপি দেন।
এ সময় সেখানে যান নবনির্বাচিত ভিপি নূরুল হক নূরও। ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসু নির্বাচনে বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী এবং স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান।
এ সময় অরণি বলেন, শনিবারের মধ্যে নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনঃতফসিল দিতে হবে। ভোটে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের পদত্যাগ করতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
লিটন নন্দী বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব রক্ষার্থে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দিতে বাধ্য হব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে বলেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অ্যাক্টের মামলা দেয়া হবে। আমরা বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন যারা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট করলেন, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি কোনো উত্তর দেননি।’
তবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘সকলের কর্মপ্রয়াস, আন্তরিকতা, সময় শ্রম সেগুলোকে নস্যাৎ করার এখতিয়ার আমার নেই। প্রত্যেকটি প্রক্রিয়া, প্রত্যেকটি কার্যক্রম রীতিনীতি মেনে হবে।’
৩১ মার্চের মধ্যে সব পদে নির্বাচনের দাবি ভিপি নূরের : এদিকে ৩১ মার্চের মধ্যে সব পদেই আবার নির্বাচন চেয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নূরুল হক। বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় নূর সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব সংগঠন পুনর্নির্বাচন চাইছে এবং সে লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছে।
আজ ভিসি স্যারকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। আমি তাদের প্রতিনিধি হিসেবে, এত কারচুপির মধ্যেও যেখানে নির্বাচিত হয়েছি। এরপরও আমি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাতিল করে ৩১ মার্চের মধ্যেই পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।
নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে তিনি বলেন, শত কারচুপির পরও আমাকে এবং আমার প্যানেল থেকে আখতার হোসেনকে (সমাজসেবা সম্পাদক) হারাতে পারেনি। নীলনকশার মাধ্যমে তারা অন্যদের হারিয়ে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে আমি দায়িত্ব পালন করব, না চাইলে করব না। তিনি বলেন, ছেলেদের হলগুলোয় দেখেছি, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তারা জোর করে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল।
যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো অলিখিতভাবে ইজারা নিয়েছেন, সেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন এসব করেছে। তাদের বলা হয়েছে, প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নষ্ট করে। এ ধরনের অনিয়ম আমরা দেখেছি।
নির্বাচনের দিন রোকেয়া হলে নিজের ওপর হামলার বিষয়ে ডাকসুর ভিপি বলেন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে ফোন দেন। তাদের লেডি মাস্টার বাহিনী রয়েছে। শোভন ভাইয়ের (ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি) নেতৃত্বে তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল।
ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ছাত্রলীগের সহযোগিতা চেয়ে নূর বলেন, আমাদের বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন আমাদের সহযোগিতার কথা বলেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
পুনরায় ভোটের দাবিতে ৬ শিক্ষার্থীর অনশন অব্যাহত : এদিকে ডাকসু এবং হল সংসদের নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনঃতফসিলের দাবিতে ছয় শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মঙ্গলবার রাত থেকে এ অনশন শুরু করেন চার শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও দু’জন।
বুধবার সকালে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে অনশনরত ছয় শিক্ষার্থীর দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি মনে করি যে নির্বাচন হয়েছে সেটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করা হয়েছে।
এর বাইরে নির্বাচন বর্জনকারী পাঁচ প্যানেলের নেতারাও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে অনশনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, এজিএস প্রার্থী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জিএস প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খান, এজিএস প্রার্থী ফারুক হাসান, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের জিএস প্রার্থী এএমআর আসিফুর রহমান, স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান, ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজীর প্রমুখ।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ : ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রীরা।
এতে অংশ নেন বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতভর চলে এ কর্মসূচি। বুধবারও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এখান থেকে ভোটের দিনে ওই হলের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, সোমবার সকাল ৮টা থেকে হলগুলোতে ডাকসু নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। তবে রোকেয়া হলের জন্য বরাদ্দ ৯টি ব্যালট বাক্সের মধ্যে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া না যাওয়ায় ভোট শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে।
ওই ব্যালট বাক্সগুলো প্রাধ্যক্ষ অন্যত্র সরিয়ে রেখেছিল। এ ঘটনায় ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চলে যান। এতে সাধারণ ছাত্রীরা ভোট দিতে পারেননি। ফলে ছাত্রলীগ হলটিতে জয়ী হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম বলেন, তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বেলা ১১টায় আমরা তাদের ডেকেছিলাম। কিন্তু সেখানে তারা আসেননি।
রোকেয়া হলের আন্দোলনে তিন ছাত্রী হলের স্বতন্ত্র প্যানেলের বিজয়ীদের একাত্মতা : রোকেয়া হল সংসদে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন মেয়েদের তিনটি হলের স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কবি সুফিয়া কামাল হল, শামসুন্নাহার হল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের নবনির্বাচিত তিন সহসভাপতি (ভিপি) ও দু’জন জিএসও উপস্থিত ছিলেন। তারা রোকেয়া হলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। লিখিত বক্তব্যে শামসুন্নাহার হলের নবনির্বাচিত জিএস আফসানা ছপা বলেন, ‘রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সারারাত ধরে চলা বিক্ষোভ ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার। এ পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচিত হল সংসদ স্বতন্ত্র প্যানেল ও প্রার্থীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।’ আমরণ অনশনে রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রী : রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন ও হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন হলের পাঁচ ছাত্রী।
তাদের চারজন প্রার্থী ছিলেন। বুধবার রাত ৯টা থেকে হলের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তারা। হল গেট ১০টায় বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা বন্ধ হতে দেয়নি। রাতেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- রাফিয়া ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে হল সংসদে ভিপি প্রার্থী, সায়েদা ছাত্র ফেডারেশন থেকে হল সংসদে এজিএস প্রার্থী, দীপ্তি স্বতন্ত্র জোট থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী এবং প্রমি হল সংসদে ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
0 facebook: