স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সভা-সেমিনার আর বক্তব্য-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি। সিদ্ধান্ত নিতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভায়ও দীর্ঘ দিন কোরামপূর্ণ হয় না। এ অবস্থায় দলে গতি আনতে স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন দরকার বলে মনে করেন অনেক নেতা। জানিয়েছেন, দলের সর্বোচ্চ ফোরামে শিগগিরই দেখা যেতে পারে নতুন মুখ।
জাতীয় প্রেসক্লাব ও নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেন্দ্রীক সভা-সেমিনার আর বক্তব্য-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ এখন বিএনপির কর্মসূচি। আন্দোলন রাজপথ থেকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার গালভরা বুলি থাকলেও, কাজে নেই।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামেরও একটি বড় অংশ নিষ্ক্রিয়। বৈঠকে কোরাম পূর্ণ হয়না ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির। অসুস্থতা ও নানা কারণে প্রায় অনুপস্থিত থাকেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। মাহবুবুর রহমান ও জমির উদ্দীন সরকারও প্রায়ই থাকেন অসুস্থ।
তিন প্রবীণ নেতা এমকে আনোয়ার, আসম হান্নান শাহ ও তরিকুল ইসলাম মারা গেলেও, তাদেরও জায়গায় ও নেয়া হয়নি নতুন কোনো নেতাকে। ঘটনা চক্রে এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন সালাউদ্দীন আহমেদ। যদিও স্থায়ী কমিটির এ সদস্যের দাবি, নেতাদের উপস্থিতি কম থাকলেই বরং সিদ্ধান্তে গতি আসে।
তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দীন আহমদ বলছেন, দলে গতি আনতে সর্বোচ্চ ফোরাম পুনর্গঠন জরুরি। একইমত দলটির শুভাকাঙ্খিদেরও। অবশ্য গুঞ্জন আছে পুনর্গঠন হতে পারে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। আর তা হলে নীতি নির্ধারণী এ ফোরামে ঠাঁই হতে পারে হাফিজ উদ্দীন আহমদ, সেলিমা রহমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের।
0 facebook: