19 July 2019

দুদক চেয়ারম্যান দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে কী বুঝাতে চানঃ কাদের


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে।

তিনি বলেছেন, “করাপশন ইজ করাপশন, এর দ্বিতীয় কোনো ব্যখ্যা নেই।”

শুক্রবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন কাদের।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ‘সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম’ কোনো অপরাধ নয়। তবে প্রমাণ করতে হবে যে ‘সরল বিশ্বাসেই’ কাজটি হয়েছে।

শুক্রবার এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান, সরকার বিষয়টি কীভাবে দেখেছে।

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দুদকের চেয়ারম্যান, তিনি কি বলেছেন আমার ঠিক জানা নেই। তবে আমি দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখতে চাই। করাপশন ইজ করাপশন। আপনি করাপশন করবেন, অনিয়ম করবেন এটাকে করাপশন হিসেবে দেখতে হবে। করাপশনের দ্বিতীয় কোনো ব্যাখ্যা নেই। দুর্নীতি দুর্নীতিই।”

দুর্নীতিকে সরকার দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “এখন সরল বিশ্বাস বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন সেই বিষয়টি তার কাছে আমার জানতে হবে। দুর্নীতি দুর্নীতিই কারও কম দুর্নীতি, কারও বেশি।”

অবশ্য অনেক সময় দুর্নীতির অভিযোগের ভেতরেও যে রাজনীতি থাকে, সে কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “করাপশান এখন সারা দুনিয়াতে হচ্ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কোথাও দুর্নীতিটাকে বেশি করে দেখানো হয়। এখানে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড বিষয় আছে যে, আমি কাউকে পছন্দ করি না তাই তাকে ঢালাওভাবে করাপ্ট বলে সাব্যস্ত করছি। এটা দেশে দেশে আছে, এটা ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সের একটি ধারা।”

সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে আওয়ামী লীগ সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম হাতে নেবে কি না- সেই প্রশ্ন একজন সাংবাদিক করেন কাদেরকে।

উত্তরে তিনি বলেন, “এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের গত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এখানে প্রত্যেকেই খোলামেলাভাবে আলোচনা করেছেন। সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না, যা সত্য তা আমরা আলোচনা করেছি। প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।”

দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা স্টেপ নিতে শুরু করেছি, প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে বলে গেছেন, পানিসম্পদ, নৌ-পরিবহন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীসহ যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের নিয়ে টিম করতে হবে, সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।”


শেয়ার করুন

0 facebook: