ড. আবু বকর মুহম্মদ জাকারিয়া |
স্টাফ রিপোর্টার।। আহলে হাদিস পন্থি আলেম ড. আবু বকর মুহম্মদ জাকারিয়াকে কাশ্মির বিষয়ে লাইভ অনুষ্টানে প্রশ্ন করা হয় যে, যেখানে গিয়ে যু’দ্ধ করা যাবে কিনা? তিনি বলেন, যুবকরা কাশ্মিরে গিয়ে জি’হাদ বা যু’দ্ধ করলে এটা হারাম হবে। কারন সেখানে যু’দ্ধ করার জন্য কোন রাষ্ট্র প্রধান আপনাকে অনুমতি দেয়নি।
রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ব্যাতিত সেই যু’দ্ধ যায়েজ নেই। যদি কোন মুসলিম রাষ্ট্র প্রধান যু’দ্ধের ঘোষণা দেয় তখন আপনি সেখানে যেতে পারেন কিন্তু এখনো কেও সেই অনুমতি দেয়নি তাই আপনি যেতে পারবেন না আপনার জন্য এটা হারাম হবে।
তিনি আরো বলেন, কাশ্মিরের মুসলমানদের জন্য আমাদের দোয়া করা উচিত এবং যাদেরকে বললে কাজ হবে তাদের বলা উচিত। মুসলিম শাসকদের কাছে গিয়ে বলা উচিত আপনারা তাদের পক্ষে কথা বলুন, এমন পরিকল্পনা হাতে নিন যাতে তাদের উপকার হয়।
তার এই ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষোভ ঝরে পড়ে তার উপর। অনেক মুফতিই বলছেন, “সে যে হাদীস দিয়ে দলিল দিয়েছে সে ঐ হাদীসের সম্পুর্ণ অপব্যাখ্যা করেছে। হাদীস শরীফ এবং অবস্থার বিপরীত বলেছে সে।
এই হাদীস শরীফের মাফহুম হলো (কোনো অপরিচিত পতাকা বহনকারীর পতাকা তলে মানে ঐ গুষ্ঠির হয়ে তাদের পক্ষে লড়াই করা যাদের সম্মন্ধে তোমার এতটুকু জানা নেই যে ওরা হক্ব নাকি বাতিল! সেই যুদ্ধে লড়াই করে মারা গেলে তার মরন হলো জাহিলিয়াতের উপর)
কিন্তু কাশ্মীরের নির্যাতিত মুসলমানদের পতাকা তলে মানে কাশ্মীরি মুসলমানদের হয়ে ভারতের কাফের মুশরিক সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই। ইহা কি অপরিচিত? পাগল ও তো একথা মেনে নেবেনা।
কাশ্মীরের মুসলমানরা হক্বের উপর কিনা এটা কি তার জানা নেই? এসব শায়খ থেকে দূরে থাকবেন এবং তাদের থেকে ফতোয়া নেয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন ইনশাআল্লাহ। এসব মাদখালীরা হলো ডলার ও রিয়ালের গোলাম।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: