22 September 2019

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করলো উগ্র-হিন্দুত্ববাদি প্রভোস্ট তপন কুমার


স্টাফ রিপোর্টার।। শিরোনাম পড়ে মনে হতে পারে, উগ্র হিন্দুত্ববাদি ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, কিন্তু না ঘটনা বাংলাদেশের, খোদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ডাইনিংয়ে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে হলের উগ্র-হিন্দুত্ববাদি প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার।

গরুর গোশত বিক্রি করায় তপন কুমার জোদ্দার সম্প্রতি ডাইনিং ম্যানেজারকে শাসিয়েছে বলেও জানা যায়।

জানা গেছে, হলের ডাইনিং ম্যানেজার তোতা মন্ডল প্রায় এক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিং ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে ডাইনিংয়ে পোলাও এবং গরুর গোশত বিক্রি করে আসছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার তাকে গরুর গোশত বিক্রি করায় শাসিয়ে বলেছে হলে গরুর গোশত আজ থেকে বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এ বিষয়ে হলের ডাইনিং ম্যানেজার তোতা মন্ডল জানান, গত সপ্তাহে ডাইনিংয়ে খাবারে তালিকায় গরুর গোশত রাখায় প্রভোস্ট ফোন দিয়ে তাকে বকাঝকা করেছে। সে ডাইনিং ম্যানেজারকে উদ্দেশ করে বলেছে- গরুর গোশত কার হুকুমে এ হলে বিক্রি করা হচ্ছে? এ হলে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ। তুমি আগামী শনিবার এসে আমার সঙ্গে দেখা করবা।

এদিকে হঠাৎ হলে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

জয়নুল আবেদীন নামের ওই হলের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বসী ছিলেন। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধু হলেরই  উগ্র-হিন্দুত্ববাদি প্রভোস্ট গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউস টিউটর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একটি হলে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ, এটা কীভাবে সম্ভব? আমার জানা মতে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলে, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শিক্ষার্থীরা আমাকে অভিযোগ করেছে- ডাইনিং ম্যানেজার একেক সপ্তাহে একেক রকম খাবার দেয়। আমি ম্যানেজারকে বলেছি যে, তুমি ডাইনিংয়ে তোমার ইচ্ছামতো খাবার দিতে পারবা না। খাবারের তালিকা আমরা নির্ধারণ করে দেবো। সেটি গরুর গোশত কিংবা মুরগীর গোশত। আমি তাকে আরও বলেছি, প্রতি সপ্তাহে গরুর গোশত না রেখে মাসে একদিন তো খাসির গোশতও রাখতে পার।

তবে নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক কতিপয় শিক্ষার্থী বলেছেন যে অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার চরম হিন্দুত্ববাদি এবং গরুর গোশত বিরোধী। তার যদি গরুর গোশত ভালো না লাগে তাহলে চাকরি ছেড়ে চলে গেলেই হয়, তার একার জন্য তো ৯৯% মুসলিম গরুর গোশত খাওয়া ছেড়ে দেবে না। তার মনে রাখা উচিৎ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তো হিন্দুয়ানী কালচারে নিরামিষি বানান যাবেনা।


শেয়ার করুন

0 facebook: