আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ফিলিস্তিনিদের
ওপর ইসরাঈলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তুরস্কের অবস্থান পুনরাবৃত্তি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট
রজব তৈয়ব এরদোগান।
মঙ্গলবার
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া এক আবেগময়ী বক্তৃতায় তিনি প্রশ্ন রাখেন, ইসরাঈলের
সীমান্ত কোথায়? এটা
কি ১৯৪৮ সালের সীমান্ত,
নাকি ১৯৬৭ সালের? কিংবা এছাড়া কি কোনো সীমান্ত রয়েছে?
জাতিসংঘের
সদস্য দেশগুলোকে এরদোগান বলেন,
ইসরাঈলের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার কোনো বৈধতা নেই। কাজেই
কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
ও জাতিসংঘের উচিত পদক্ষেপ নেয়া বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট।
মুসলিম
বিশ্বের এই নেতার প্রশ্ন,
যদি তাদের ভূখণ্ডের আওতায় না পড়ে, তবে বিশ্ব
সম্প্রদায়ের সামনে অন্যান্য অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মতো তারা গোলান মালভূমি ও পশ্চিমতীরের
অবৈধ বসতিকে কীভাবে একীভূত করতে পারে?
এ সময়
যুক্তরাষ্ট্রের শতাব্দির সেরা চুক্তির নেপথ্য উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরদোগান
বলেন, তুরস্ক
সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকবে এবং অতীতেও ছিল।
নির্বাচনের
আগে ইসরাঈলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিমতীরের অবৈধ ইহুদি বসতিকে
ইসরাঈলের সঙ্গে একীভূত করার কথা বলেছে।
গত জুনের শেষ দিকে ইসরাঈল পূর্ব জেরুজালেমে একটি ঐতিহ্যবাহি ইহুদি প্রত্নতত্ত্বের উদ্বোধন ঘটায়। যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষস্থানীয় মধ্যপ্রাচ্যের দুজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে একজন হল তথাকথিত পিস এনভয় জ্যাসন গৃনব্লাট। এবং আরেকজন হল ইসরাঈলে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রাইডম্যান। এরাই ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত ভূমি সমূহের উপর ইস্রায়েলী দৌরাত্ম্যের সুদীর্ঘ মেয়াদ নিশ্চিতকরণের সিগনাল দেয়।
ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাঈলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দানের প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট একটি বিল পাশ করা হয়। যা আমেরিকা এবং জাতিসংঘ কর্তৃক ১৪/১ ভোট পায়।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখ জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত সেই ভোটাভুটিতে ১২৮ টি দেশ পক্ষে নয়টি দেশ বিপক্ষে এবং পঁয়ত্রিশটি দেশ অনুপস্থিত ছিল। ফলশ্রুতিতে তখন জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে বলা হয়েছিল জেরুজালেমকে ইসরাঈলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দানের সিদ্ধান্তের থেকে সরে আসার জন্য।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
তুরস্ক
0 facebook: