Showing posts with label তুরস্ক. Show all posts
Showing posts with label তুরস্ক. Show all posts

26 September 2019

ইসলামফোবিয়া প্রতিরোধে এরদোগান-ইমরান-মাহাথিরের যৌথ সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ

ইসলামফোবিয়া প্রতিরোধে এরদোগান-ইমরান-মাহাথিরের যৌথ সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ইসলামফোবিয়া এবং বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মুকাবেলায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং মালয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটে একথা জানিয়েছেন।

ইমরান খান লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান, প্রধানমন্ত্রী মাহাথির ও আমি আজ বৈঠক করেছি। যেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের তিন দেশ যৌথভাবে ইংরেজী ভাষার একটি টিভি চ্যানেল চালু করব। যেটি ইসলামভীতির মাধ্যমে সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলাসহ আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ভুমিকা রাখবে। ইসলামফোবিয়ার প্রতিরোধের পাশাপাশি যেটি মুসলিদের ইতিহাস ঐতিহ্য সঠিকভাবে বিশ্বকে জানাতে ভুমিকা রাখবে।

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক নগরীতে সমবেত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা। সেখানে অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন এই তিন নেতা। এসময় তারা মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনাকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য তাদের মতো শরণার্থী শিবির বানানোর আহ্বানঃ তুরস্কের

শেখ হাসিনাকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য তাদের মতো শরণার্থী শিবির বানানোর আহ্বানঃ তুরস্কের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশে জমি বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। গত মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে এই আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে কাভুসোগলু বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ করবো তারা যেন রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা জমি বা জায়গা বরাদ্দ করে, ঠিক যেমনটা আমরা করেছি সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে। আর এখনও সেটা বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শরণার্থী শিবির।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেই বোঝা বহন করছে তা ভাগাভাগি করতে এগিয়ে আসবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

তিনি বলেন, এই সংকট শুরুর পর থেকেই তুরস্ক সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার থেকেছে। এমনকি মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্যও মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে তুরস্ক।

তিনি বলেন, তুরস্ক আশা করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মিয়ানমার। সূ্ত্র: ডেইলি সাবাহ

১৯৮২ সালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় মিয়ানমার সরকার। এর পর থেকে কয়েক দফায় তাদের ওপর চলা গহত্যার কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালের আগস্টে আবারো গণহত্যা শুরু হলে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের সাত লাখেরও বেশি মানুষ।

এরপর থেকে আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নভাবে তাদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। দেশটির ফার্স্ট লেডী আমিনা এরদোগানসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্বশীল রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফর করেছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা শিবিরে এখনো বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় প্রজেক্ট চালু রেখেছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী দেশ তুরস্ক।
সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার দায় ইরানের ওপর চাপানো ঠিক হবে নাঃ এরদোগান

সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার দায় ইরানের ওপর চাপানো ঠিক হবে নাঃ এরদোগান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় হামলার জন্য ইরানের ওপর দোষারোপ করতে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। তিনি বলেন, পুরো দায় ইরানের ঘাড়ে চাপানো ঠিক হবে না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারে ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো।

ওই হামলায় উপসাগরীয় দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে পড়েছিল। বিশ্ববাজারে তেলের দামও আকাশছোঁয়া পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছর ধরে যুদ্ধরত হুতি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইরান হামলা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে, পুরাদস্তুর যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে।

বুধবার মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম ফক্সনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, ইরানকে দায়ী করা ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। ইয়েমেনের বিভিন্ন অংশ থেকে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এরদোগান বলেন, যদি আমরা পুরো দায় ইরানের ঘাড়ে চাপাই, তবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সেটা সঠিক পথ হবে না। কারণ সচরাচর যেসব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, অকাট্যভাবে তা আসল ঘটনাকে নির্দেশ করে না।

ফক্সনিউজে এরদোগানের বক্তব্যের ইংরেজি ভাষার অনুবাদে এমনটিই বলেছে। বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেন, পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, তা নিয়ে মিত্র ও বন্ধু দেশের সঙ্গে পরামর্শ করছেন তারা।
সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামের কোন ধরণের সম্পর্ক নাইঃ জাতিসংঘে এরদোগান

সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামের কোন ধরণের সম্পর্ক নাইঃ জাতিসংঘে এরদোগান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসলামের কোন ধরণের সম্পর্ক রয়েছে এরকম অপবাদ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।

বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলামকে সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করা একটি অনৈতিক অপবাদ। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সন্ত্রাসবাদ এই ধর্মে গ্রহণযোগ্য নয়।

এরদোগান আরও বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে মতামতের স্বাধীনতায় কখনো বিভ্রান্ত হওয়া উচিত না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুসলমানদের কট্টর বক্তব্যই শুধু বড় করে (ছড়িয়ে) দেখানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা হিজাব পরায় সড়কে ও কর্মস্থলে হেনস্থার স্বীকার হন। একটি দেশ হিসেবে যার বিদেশে ৬৫ লাখ নাগরিক রয়েছে, যারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও হামলার শিকার হচ্ছে, আমরা এ বিষয়টি উপেক্ষা করতে পারি না।

সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিবিদরা জনপ্রিয়তা বাড়াতে ঘৃণা চর্চা ছড়াচ্ছেন, এদের কারণে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে, এটাকে (বিদ্বেষমূলক বক্তব্য) তারা বাকস্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করছেন।

ভারতে মুসলিমদের ওপর হামলার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানান। যারা গরুর গোশত খান তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর শ্রদ্ধা জানাতে ভারতকে আহ্বান জানান ও তিনি।

এরদোগান বলেন, ভারতে আমরা কীভাবে মুসলিম যুবকদের রক্ষা করব, যাদের বেত্রাঘাত করা হচ্ছে, চাপাতি দিয়ে কোপানো হচ্ছে, এমনকি সামান্য গরুর গোশত খাওয়ার দায়ে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, হিন্দু ধর্মে গরুকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। হিন্দু জাতীয়বাদীরা গরুর মুসলিম মালিকদের ওপর হামলা করছে। বিভিন্ন উদীয়মান গোরক্ষা গোষ্ঠীর নামে এসব করা হচ্ছে।

এরদোগান তার বক্তব্যে কাশ্মীরের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর একটি মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে এবং এখানকার বাসিন্দারা কারাগারে রয়েছেন।

তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সব (বিদেশি) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর পরে। এ সময় তিনি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অবস্থান থেকে সবাইকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানান।

ইসলামের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ইসলামকে, শান্তির ধর্মকে সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত করা একটি অনৈতিক অপবাদ। এটি অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, আমরা ইসলামফোবিয়া, বর্ণবাদ এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করার সব চেষ্টা চালিয়ে যাব।
কাশ্মীর যেন আজ একটি মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছেঃ এরদোগান

কাশ্মীর যেন আজ একটি মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছেঃ এরদোগান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। অবৈধ দখলদার উগ্র হিন্দুত্ববাদি ভারত অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। তিনি বলেন, কাশ্মীর আজ একটি মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে এবং এখানকার বাসিন্দারা কারাগারে রয়েছেন।

বুধবার এরদোগান তার বক্তব্যে কাশ্মীরের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সব (বিদেশি) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর পরে। এ সময় তিনি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অবস্থান থেকে সবাইকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানান।

ভারতে মুসলিমদের ওপর হামলার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানান। যারা গরুর গোশত খান তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর শ্রদ্ধা জানাতে ভারতকে আহ্বান জানান তিনি।

এরদোগান বলেন, ভারতে আমরা কীভাবে মুসলিম যুবকদের রক্ষা করব, যাদের বেত্রাঘাত করা হচ্ছে, চাপাতি দিয়ে কোপানো হচ্ছে, এমনকি গরুর গোশত খাওয়ার মতো সাধারণ ঘটনার দায়ে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, হিন্দু ধর্মে গরুকে পবিত্র মনে করা হয়। হিন্দু জাতীয়বাদীরা গরুর মুসলিম মালিকদের ওপর হামলা করছে। বিভিন্ন উদীয়মান গোরক্ষা গোষ্ঠীর নামে এসব করা হচ্ছে।

ইসলামের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ইসলামকে, শান্তির ধর্মকে সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত করা একটি অনৈতিক অপবাদ। এটি অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, আমরা ইসলামফোবিয়া, বর্ণবাদ এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করার সব চেষ্টা চালিয়ে যাব।