স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, বৃহস্পতিবার নবজাতক শিশুটিকে একটা কাপড়ের পুটলিতে মুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন শিশুটির বাবা ও দাদা মিলে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো অসহায় শিশুটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা। এ সময় জুবিলি বাস স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক কুমার তাদের দেখে ফেলেন। ওই দুজনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি তাদের পিছু নেন। এসময় দেখেন তারা পুটলিটা নিয়ে ঝোপের দিকে যাচ্ছেন।
সেখানে পৌঁছে তারা গর্ত খুঁড়তে শুরু করেন। এই ঘটনা দেখার পরেই পুলিশে খবর দেন অটোচালক। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ।
সিএনজি চালক কুমার বলেন, দেখলাম বুড়ো লোকটা কাপড়ের পুটলিটা নিয়ে ঝোপের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তার সাথের লোকটা গর্ত খুঁড়ছে। আমি তাদের চিৎকার করে থামতে বললাম। কিন্তু তারা আমাকে পাত্তা দিল না। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করলাম।
পুলিশকে দেখেই ভয় পেয়ে করিমনগর জেলার দুই বাসিন্দা জানায়, ওই শিশুকন্যা তাদের নাতনি। তারা আরো দাবি করেন, জন্মের সময় শিশুটি মারা গেছে। তাই শিশুটিকে দাহ করার জন্য তারা এখানে নিয়ে এসেছে। গর্ত খুঁড়ে শিশুটিকে পুড়িয়ে চাপা দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।
এসময় হঠাৎ শিশুটি কেঁদে উঠে। তখন পুলিশ পুটলি খুলে দেখে শিশুকন্যাটি এখনও জীবিত। তখন শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেয়েটির বাবা আর দাদাকেও। এ ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ভারত
হিন্দু সমাচার
0 facebook: