স্টাফ রিপোর্টার।। রাষ্ট্রীয়
মর্যাদায় মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক মন্ত্রী, সাবেক ঢাকার মেয়র
ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা।
বৃহস্পতিবার
রাজধানীর জুরাইনে তার মায়ের কবরে দাফন করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এর আগে সকাল
১০ টায় সংসদ ভবনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ও দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয় খোকার লাশ। সেখানে ২য় জানাজা শেষে বিকেল ৩টায়
নগর ভবনে ৩র্থ জানাজা, গোপিবাগ ব্রাদার্স ক্লাব মাঠে বিকেল ৪টায় চতুর্থ এবং সর্বশেষ
ধুপ খোলা মাঠে পঞ্চম জানাযা অনুষ্ঠিত হয় সাবেক এই অবিভক্ত ঢাকার নগর পিতার।
এর
আগে সকাল ৮টায় ২৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিএনপির এই
অন্যতম প্রভাবশালী নেতার লাশবাহী ফ্লাইট। বিমানবন্দরে খোকার মরদেহ গ্রহণ করেন বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
গত
সোমবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে
স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাদেক
হোসেন খোকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
এদিকে
প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখা ও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়াপল্টনে বিএনপি
লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। দুপুর ১২টার আগে থেকেই বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে নেতাকর্মীরা
ধীরে ধীরে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।
নয়াপল্টনে
সাদেক হোসেন খোকার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টায় ঢাকা সিটি করপোরেশনে
নিয়ে যাওয়া হবে খোকার লাশ। সেখানে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে লাশ নেয়া হয় নিজ বাসভবনে।
বাদ
আসর ধুপখোলা মাঠে পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায়
শায়িত করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
ক্যান্সারের
চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের মে মাসে সস্ত্রীক দেশ ছেড়েছিলেন একসময়ে ঢাকার এই দাপুটে নেতা।
তখন থেকেই সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
0 facebook: