Showing posts with label আফ্রিকা. Show all posts
Showing posts with label আফ্রিকা. Show all posts

26 September 2019

জেনে নিন মিশরের সর্বশেষ পরিস্থিতি এখন কি!

জেনে নিন মিশরের সর্বশেষ পরিস্থিতি এখন কি!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিশরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আস-সিসির বিরুদ্ধে হঠাৎ বিক্ষোভের পর গত কয়েক দিনে এক হাজার একশজনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর পার্সটুডের।

মানবাধিকার সংগঠন আরব নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস ইনফরমেশন্সএর প্রধান গামাল ঈদ বলেছেন, তার নিজের সংস্থার পাশাপাশি আরও দুটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নজর রেখেছে এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মিশরের কয়েক জন বিখ্যাত ব্যক্তিও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোস্তফা কামাল আল সাঈদ বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ সামি আনানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাজেম হোসনিকে মঙ্গলবার বিকেলে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া প্রখ্যাত লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান নাফা নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনিও আটক হয়েছেন।

গত শুক্রবার রাতে মিশরের রাজধানী কায়রোসহ বিভিন্ন শহরে সিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। এরপর আতঙ্ক দেখা দেয় শাসক শিবিরে। ওই ঘটনার পর থেকে সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেছে এবং সর্বত্র তল্লাশি চলছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে এবং রাস্তায় চলাচলকারী কাউকে সন্দেহ হলেই থামিয়ে দেহ তল্লাশি করছে। সিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিক্ষোভে নামে মিশরীয়রা।

মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুহম্মদ মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে তৎকালীন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ আস সিসি।
আবারো সিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল মিসরে রাজনৈতিক নেতাদের গণগ্রেফতার চলছে

আবারো সিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল মিসরে রাজনৈতিক নেতাদের গণগ্রেফতার চলছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিসরের স্বৈরাচারী একনায়ক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির অপসারণের দাবিতে চলা বিক্ষোভ থেকে আটকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশটিতে এখন টার্গেট করা হয়েছে সিসি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদদের। এ পর্যন্ত অনন্ত ২০ জন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিরোধী সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর ইয়েনি শাফাকের।

এর আগে শুক্রবার ও শনিবার রাতে সিসিবিরোধী বিক্ষোভে পাঁচ শতাধিক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

গত শুক্রবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে এ চত্বরের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজেও সিসি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুহম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে সিসি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকে বিরোধীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালিয়ে সিসিই নজিরবিহীভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। চলতি বছরের শুরুতে মুরসির বিরুদ্ধে বিচার চলাকালীন অবস্থায় আদালতে মারা যান তিনি।

এদিকে সিসির হাতে শাসনভার যাওয়ার পর এ ধরনের প্রথম সরকারবিরোধী বিরল বিক্ষোভ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সিসি সরে যাওস্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।

আইন বিভাগের অধ্যাপক নুর ফারহাত বলেন, মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষাবিদ হাজিম হোসনিকে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি কোথায় আছেন এখন পর্যন্ত জানি না। প্রফেসর ফাহাত তার দ্রুত মুক্তি এবং আইনজীবীদের সঙ্গে আসামিদের দেখার করার সুযোগ দাবি করেন।

সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নেমেছেন ইসতিকলাল পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসতিকলাল পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ অনন্ত ২০ জন সিনিয়র সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সরকারি বাহিনী। দলটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

25 September 2019

স্বৈরশাসক সিসি বিরোধী বিক্ষোভে এবার মিসরের সেনাবাহিনীর সমর্থন!

স্বৈরশাসক সিসি বিরোধী বিক্ষোভে এবার মিসরের সেনাবাহিনীর সমর্থন!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিসরের স্বৈরশাসক সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এবার সমর্থন জানিয়েছে মিসরের সেনাবাহিনী। সাধারণ জনগনের সাথে মিসরের স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে দেয়ার ডাক দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ

মঙ্গলবার মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ইজিপশিয়ান অফিসার্স ফ্রন্টনামের একটি জোট নাগরিকদের রাস্তায় নেমে সিসির পদচ্যুতির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ওই জোটটি মিসরের সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি আনানের অনুগত।

জনতার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে এ গোষ্ঠীটি জানায়, ‘আপনারা রাজপথে নামুন। সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রাখুন। হোসনি মোবারকের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সেনাবাহিনী যেভাবে বিক্ষোভকারীদের রক্ষা করেছিল, ঠিক সেভাবেই আমরা আপনাদের সুরক্ষা দেব।

ওই পোস্টে সামি আননের সরকারি মুখপাত্র হিসেবে ড. মাহমুদ রেফাতের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোনো তথ্যের জন্য নাগরিকদের তার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ খবর নিশ্চিত করে রেফাত জানান, যে সব সেনা কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা দেবেন তাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ এবং তাদেরকে মিসরীয় সেনাবাহিনীর সম্মানিত অফিসারবলে অভিহিত করা হবে।

তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্রবার ও শনিবার রাতে সিসিবিরোধী বিক্ষোভে পাঁচ শতাধিক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

গত শুক্রবার ও শনিবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজেও সিসি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হঠিয়ে ২০১৩ সালে সিসি ক্ষমতা গ্রহণ করে।

এরপর থেকে বিরোধীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালিয়ে সিসিই নজিরবিহীভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আইন করে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেন জেনারেল সিসি। নিষেধাজ্ঞার মুখে সিসির বিরুদ্ধে এ ধরনের বিক্ষোভ বিরল।

23 September 2019

মিসরে বিক্ষোভ দমাতে প্রতিবাদকারীদের ব্যাপক ধরপাকড় স্বৈরশাসক সিসি বাহিনীর

মিসরে বিক্ষোভ দমাতে প্রতিবাদকারীদের ব্যাপক ধরপাকড় স্বৈরশাসক সিসি বাহিনীর


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিসরের স্বৈরশাসক একনায়ক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির অপসারণের দাবিতে চলা বিক্ষোভ থেকে আটকের সংখ্যা বেড়ে চলছে।

বিগত দুইদিনে আটককৃতদের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে। যদিও আটকের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু স্বীকার করছে না সিসি প্রশাসন।

আল-জাজিরার কায়রো প্রতিনিধি সাইফুদ্দীন জানান, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া সিসি বিরোধী বিক্ষোভ থেকে কতজনকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানায়-নি মিসর সরকার। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমসূত্রে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার হওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৩৪ জন নারীও রয়েছেন। শুধুমাত্র কায়রো থেকেই ১৬০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আলেক্সজান্দ্রিয়া থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর আটকদের ছেড়ে দিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ(এইচআরডব্লিউ)।

এইচআরডব্লিউর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক উপপরিচালক মাইকেল পেজ বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ফের পাশবিক শক্তি প্রয়োগ করেছে প্রেসিডেন্ট আল-সিসির নিরাপত্তা বাহিনী।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের ঠাহর করা উচিত যে তাদের এই পাশবিক শক্তির প্রয়োগ বিশ্ব দেখছে এবং অতীতের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সব পদক্ষেপ নেবে।

আসছে সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার যখন নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে আল সিসি, তখনই শুরু হয়েছে এ বিক্ষোভ।

বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, জাতিসংঘের মহাসচিবসহ মিসরের আন্তর্জাতিক অংশীদার দেশগুলোর উচিত লোকজনের বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে মিসরীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো।

22 September 2019

মিসরের স্বৈরশাসক সিসির পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ অব্যাহত

মিসরের স্বৈরশাসক সিসির পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ অব্যাহত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিসরের স্বৈরশাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় দিন শনিবার বন্দরনগরী সুয়েজ এবং রাজধানী কায়রোর পার্শ্ববর্তী গিজা ও মাহাল্লাসহ বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাজধানীর সেই ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে কয়েক বছর প্রথমবারের মতো বিক্ষোভ হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও লাইভ বুলেট ব্যবহার করেছে। এতে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে।

আলজাজিরা বলছে, শুক্রবারের বিক্ষোভের সময় অন্তত ৭৪ জনকে আটক করা হয়। এর পর শনিবারের বিক্ষোভে তাদের মুক্তি দাবি করা হয়। সেইসঙ্গে সিসির পদত্যাগ দাবি করেন তারা। সিসি তুমি চলে যাও’, ‘ভয় নেই জেগে উঠোএ রকম নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।

সুয়েজ শহরে এক বিক্ষোভকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুই শতাধিক লোক দ্বিতীয় রাতে অবস্থান করেছেন। যেখানে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি ও সামরিক যান।

তিনি বলেন, ‘তারা (নিরাপত্তা বাহিনী) টিয়ার গ্যাস, রাবার ও লাইভ বুলেট ব্যবহার করেছে। এতে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে।

এদিকে, কায়রোর তাহরির স্কয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এই তাহরির স্কয়ারে ২০১১ সালে যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় তার জেরেই পতন ঘটে দেশটির ৩০ বছরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের।

পরবর্তীতে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী হন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মহম্মদ মুরসি। কিন্তু ২০১৩ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি অভ্যুত্থান করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুৎ করে। এর পর মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের অসংখ্য নেতাকর্মীকে বন্দি ও হত্যা করা হয়। সম্প্রতি আদালতে বিচার চলাকালে হার্টঅ্যাটাক করে মারা যান মুরসি। এর কয়েকদিন পর তার এক ছেলেও মারা যান।

এদিকে, ক্ষমতা দখলের পর ২০১৪ সালে নামমাত্র নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হ সিসি। যেখানে ছিল না কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী। তার পর এই প্রথম বিরোধিতার মুখে পড়ল সে

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, স্বেচ্ছায় নির্বাসিত মিসরীয় ব্যবসায়ী ও অভিনেতা মহম্মদ আলীর এক আহ্বানের পর শুক্রবার রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করে মিসরের সাধারণ মানুষ। জেনারেল সিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মানুষকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন মহম্মদ আলী।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেখানে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত সেখানে সিসি ও তার কর্মকর্তারা জনগণের বিপুল অংকের অর্থ অপচয় করছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে মিথ্যাচারহিসেবে আখ্যায়িত করেছে জেনারেল সিসি।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে মহম্মদ আলী বলেন, সিসি যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা না দেয়, তবে শুক্রবার মিসরের জনগণ রাজপথে নেমে আসবে। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকেই জেনারেল সিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন মহম্মদ আলী। অনলাইনে এসব ভিডিও লাখ লাখ বার দেখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীদের কার্যত নেতা হয়ে উঠেছেন স্বেচ্ছা নির্বাসিত এ ব্যবসায়ী।

নিজেদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনকারীরা। তারা সবাইকে বিভেদ ভুলে সিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।