আবহমান
কাল থেকেই হিন্দুদের জন্য গোশতের অপশন অত্যন্ত সংকীর্ণ। একটি সময়ে মুরগির গোশত ও ডিম
খাওয়াও হিন্দুদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল,
আর গরুর কথা তো বাদই দিলাম। সব মিলিয়ে হিন্দুদের জন্য একমাত্র গোশতের
অপশন ছিল ‘খাসির
গোশত’, কারণ
শুকরের গোশত নিচুশ্রেণীর হিন্দুরা ছাড়া অন্যরা খেতো না।
সেই খাসির
গোশতও বর্তমান বাজারে দুর্মূল্য,
কিন্তু বাসায় যদি কখনও হিন্দুরা দাওয়াত খেতে আসে তখন খাসির গোশত
করতেই হয়। আমি তখন দেশে ঈদ করতে গিয়েছি, তো সেই ঈদে আমাদের বাসায় প্রতিবেশী কিছু হিন্দুরা
খেতে এসেছে, তাদেরকে
দেয়া হয়েছে খাসির গোশত। উল্লেখ্য,
খাসির গোশত এই পরিমাণে রান্না করা হয়েছিল যে, মেহমান
খাওয়ার পরও যেনো আমাদের বাসার ১৫/২০ জনের জন্যও অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু আগত হিন্দুরা
খাসির গোশত পেয়ে এমনভাবে বাটির পর বাটি সাবাড় করেছিলো যে, বাসার
মানুষের জন্য কিছুই ছিল না বলা চলে।
পরে আম্মা
সান্তনা দিতে গিয়ে বলল,
“থাক বাবা ওরা তো হিন্দু, গরু যেহেতু খেতে পারে না, তাই খাসি
পেলে একটু বেশি তো খাবেই। বাজার থেকে কিনে খেতে গেলে যেই টাকা লাগে।”
গতো কয়েকদিন
আগে চট্টগ্রামে মেজবানে হিন্দুদের পদদলিত হয়ে মরার মাধ্যমে তাদের খাসির গোশতের প্রতি
সেই লোভেরই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অনলাইনে কিছু কিছু হিন্দুত্ববাদী সাইকো এর মধ্যে
ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করতে চাইলেও অনেক হিন্দুই এরকম কমেন্ট করেছে-
//সব
কিছুতে চক্রান্ত খোজা একটা মানসিক রোগ। সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে হিন্দুরা একটু বেশীই লোভি।।
চট্টগ্রাম নিশ্চয়ই মংগা পিড়ীত এলাকা নয়।। তাহলে খাবারের জন্য এত টা হুড়োহুড়ির কি দরকার? শোক প্রকাশ
করতে পারছিনা। রিয়েলি এবসার্ড।।//
আরেক
হিন্দুর কমেন্ট- //সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে মানুষের ধৈর্য কম, আবার যদি
পাছে ছাগলের পিস সর্ট পড়ে, এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী আমি আমরা সকলেই। কেন বাপ-দাদার জন্মে মাংস চোখে দেখে
নাই। অব্যবস্থাপনা বা জায়গা ঢালু সব জানার পরেও হুড়াহুড়ি করার কারণটা কি? খানা না
পাইলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাইতো?//
আসলে
ভাত একটা টিপলেই বোঝা যায়। সামান্য খাসির গোশতের লোভে যেই হিন্দুরা পদদলিত হয়ে মারা
যায়, সেই
হিন্দুদেরকে যদি দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসানো হয়, কোটি
কোটি টাকার লেনদেনের ক্ষমতা যদি তাদেরকে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে কি হতে পারে? বিগত
দশ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে বহু হিন্দু আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, যার বর্ণনা
সুন্দরবনের সব গাছ কলমে আর বঙ্গোপসাগরের সমস্থ পানি কালিতে পরিণত করে লিখলেও শেষ হবে
না।
এই আওয়ামী
লীগ তো হিন্দুদেরকে কম দেয়নি,
কিন্তু তারপরও শিপন কুমার বসুরা মেন্দি সাফাদিদের সাথে চক্রান্ত
করে আওয়ামী লীগকে সরাতে চায়। আওয়ামী লীগ বোঝে না যে, লোভী কুকুরকে কম করে খাইয়ে অভ্যাস করাতে
হয়, বেশি
খাওয়ালেই তার জিভ লম্বা হয়ে যায়। আর বর্তমানে এদেশে হিন্দু কুকুরগুলোর জিভ এতোই লম্বা
হয়েছে যে, আওয়ামী
হাড্ডিতে এখন আর তাদের পোষায় না। এখন ইস্রায়েল-আম্রিকা থেকে আমদানি করা বিদেশী হাড্ডি
তারা খেতে চায়।
গোলাম মোরশেদঃ যুক্তরাজ্য
প্রবাসী ইসলামিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
0 facebook: