স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ শুধু বিটিভি দেখার সুযোগ পাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া। পড়ার জন্য তাকে তিনটি পত্রিকা
দেয়া হবে ঢাকার নাজিম উদ্দীন রোডের
পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ।
সাধারণ বন্দী হিসেবে কারাগারে ঠাঁই হয়েছে খালেদা জিয়ার। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিভিশনের কাগজ পাওয়ার পর এখান
থেকে তাকে স্থানান্তর করা হবে।
বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া
অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পর
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই নতুন ঠিকানায় দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়া। রাখা হয়েছে পুরনো কেন্দ্রীয়
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের অফিস কক্ষে।
কারাসূত্র বলছে, নাজিম উদ্দীন রোডেই বেগম
জিয়াকে রাখতে গত ১৫ দিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত
হলেও পুরাতন কারাগারের অভ্যন্তরের লাল ও হলুদ রঙের তিনতলা বিশিষ্ট ‘ডে কেয়ার সেন্টার’-কেই বেছে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। দেওয়া হয় পুরনো রঙের ওপর নতুন রঙের আস্তরণ। জেল কোড অনুসারে ভিআইপি বন্দী রাখার জন্য ‘ডে কেয়ার’ সেন্টারের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির ডান পাশের দুটি কক্ষে লাগানো হয় নতুন টাইলস, সিলিং ফ্যান, হাইকমোড। গত দুই দিন আগে লাগানো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ।
খালেদার চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকবেন। খালেদা জিয়ার খাবারও পরীক্ষা করবেন তিনি। তাকে একটি পুরনো ফ্রিজ দেওয়া হয়েছে ও পাশের রুমে
গ্যাসের চুলায় রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত কিছুদিন ধরে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয় পুরাতন
কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায়। সাদা পোশাকে দায়িত্ব
পালন করছিলেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। গত বুধবার কারাগারের আশপাশে নতুন
করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার
থেকেই ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচলেও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। কারাগারের চারদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও অবস্থান জোরদার করা
হয়েছে।
কারা সূত্র বলছে, নাজিম উদ্দীন রোডের পুরনো
কারাগারে নেওয়ার পর প্রথমে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় জেল সুপারের পুরনো অফিস
কক্ষে। এ সময় খুব বিমর্ষ অবস্থায়
ছিলেন তিনি। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। আগে থেকেই ওই কক্ষকেই থাকার জায়গা হিসেবে প্রস্তুত
করে কারা কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে
কারা চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে রাতের খাবার দেওয়া হয়েছে ভাত, মাছ, সবজি এবং ডাল। সকালে দেওয়া হবে রুটি
সবজি। বেগম খালেদা জিয়ার কারা ব্যবস্থাপনার জন্য আগে থেকেই ডেপুটি জেলার শিরিন
সুলতানার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মহিলা কারারক্ষী দল এবং ডেপুটি জেলার আশরাফ
উদ্দীনের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি দল গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ।
0 facebook: