ক্রাইম ডেস্কঃ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগার আসাদ নূরকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ।
সোমবার সন্ধার দিকে হযরত শাহজালাল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউরোপে থাকা নাস্তিক মুফাস্সিল ইসলামের ফেসবুক লাইভ থেকে এ তথ্য জানা যায়। কিন্তু কয়েকজন নাস্তিক তাকে লাইভের ভিডিওটি ডিলিট করে দিতে বল্লে, সে ডিলিট করার আগেই তা ভাইরাল হয়েযায় অনলাইনে।
আসাদকে গ্রেফতারের পর মুফাস্সিল ইসলাম ফেসবুক লাইভে এসে জানায়, আসাদ এর আগে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো, কিন্তু আইনি জটিলতায় সেখানে থাকতে পারেনি। পরে সেখান থেকে সে নেপাল চলে যায়।
পরবর্তীতে ইউরোপে থাকা মুফাস্সিলসহ অন্যান্য নাস্তিকদের পরামর্শে লুকিয়ে বাংলাদেশে এসে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।
খবর নিয়ে জানা যায়, আসাদ নূরের বিরুদ্ধে চলিত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আমতলী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা (নম্বর ১৪) দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমতলী শাখার সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক।
মামলায় আসাদের বিরুদ্ধে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকার ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আমতলী থানার ওসি বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনার আমতলী থানার ওসি শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘ব্লগার আসাদ নূর ও তার এক সহযোগী লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলার পরপরই লিমন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আসাদ নূর পালিয়ে যায়।
সোমবার সন্ধ্যার সময় বিমানবন্দর দিয়ে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের টিম তাকে আনার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘এর আগে আসাদ নূর কিছু দিন ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে ছিলো। আমরা তার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবগত করে রেখেছিলাম।’
ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, আসাদ নূর নেপালের কাঠমাণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চ্যানেল পার হচ্ছিলো। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই রেড এলার্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আমতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মাধব চন্দ্র দে বলেন, ‘আসাদ নূরের বাড়ি আমতলীর উত্তর টিয়াখালী। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।’
জানা যায়, নিজেকে নাস্তিক হিসেবে প্রচার করতে চাইলেও আসাদ নূর ছিলো মূলত ইসলাম বিদ্ধেষী ব্লগার। সম্প্রতি পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দিয়ে ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছেড়েছিলো এই আসাদ।
এছাড়াও সে প্রতিনিয়ত ইসলাম ও মুসলমান এবং মহান আল্লাহ পাক ও রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন ব্লগে বাজে মন্তব্য এবং স্টাটাস আপলোড করতো।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তখন থেকে। তাকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়ে আসছিলো বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: