স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে রাজনীতিকদের হাতে পুলিশের হেনস্থা হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক পুলিশ কর্মকর্তাই
তা নীরবে সহ্য করে নেন। কিন্তু এবার ভারতের হিমাচল প্রদেশে এক রাজনীতিকের হেনস্থার চরম
জবাব দিলেন এক নারী পুলিশ কনস্টেবল। স্থানীয় বিধায়কের হাতে চড় খেয়ে উল্টো তাঁকেই চড় মারলেন ওই
নারী পুলিশ।
ভারতীয়
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে,
হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক আশা কুমারীর
হাতে চড় খেয়ে সবার সামনেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাল্টা চড় মারেন ওই নারী পুলিশ কর্মী। পুরো ঘটনাই ধরা পড়ে
ক্যামেরায়।
ওই
দিন সিমলায় কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ে তখন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন কংগ্রেস
সভাপতি রাহুল গান্ধী। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ভরাডুবির কারণ
পর্যালোচনা করছিলেন তিনি। সেই বৈঠকেই যাওয়ার চেষ্টা করেন ৫৭ বছরের আশা কুমারী। কিন্তু তাঁকে আটকে
দেয় পুলিশ। দায়িত্বে থাকা এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায়
তাঁর। মেজাজ হারিয়ে ওই কনস্টেবলকে
চড় মারেন ডালহৌসির বিধায়ক আশা। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে পাল্টা তাঁকে টেনে নিয়ে উল্টো চড়
মারেন ওই পুলিশ কর্মী।
পরে
অবশ্য এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর
আত্মীয়া আশা কুমারী। তিনি বলেন,
'ওই পুলিশ কর্মী আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার
করেন, আমাকে ধাক্কা মারেন। আমি ওর মায়ের বয়সী। তবে হ্যাঁ,
আমার মেজাজ হারানো উচিত হয়নি। আমি ক্ষমা চাইছি।'
২০০৩-২০০৫-এর মধ্যে বীরভদ্র সিং-এর মন্ত্রিসভার
সদস্য ছিলেন আশা কুমারী। ডালহৌসির অরণ্যভূমি বেআইনি ভাবে দখল করায় কারাদণ্ডও হয় তাঁর। পরে জামিনে মুক্তি
পান এই কংগ্রেস নেত্রী।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: