আন্তর্জাতিক
ডেস্কঃ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফের বিতর্কের জন্ম দিল চীন। এবার ওই বিতর্কিত স্থানে গোপনে
পরমাণু প্লান্ট গড়ে তুলছে চীন। আর এই জন্য ভাসমান পদ্ধতি ব্যবহার করছে বেইজিং। বেইজিং-এর
দাবি উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই নিউক্লিয়ার প্লান্ট অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই,
দেশের পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মধ্যে এই প্রজেক্টরে কাজ
শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে চলছে গবেষণা। জানা গেছে, চীনের ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কো-অপারেশন (CNNC) অন্তত
২০টি ভাসমান নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন তৈরি করবে। সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সান
কিন জানিয়েছেন, ২০১৯-এর
মধ্যে কার্যকর হবে এই প্রজেক্ট। এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনও
আঘাত করতে পারবে না। জরুরীকালীন অবস্থায়, সমুদ্রের জল পাম্প করে তোলাও যাবে ওই স্টেশনের
মাধ্যমে। দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। তবে দ্বীপগুলির উপর দাবি রয়েছে
ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই
ও তাইওয়ানের।
অন্যদিকে, হুমকি-নিষেধাজ্ঞা
উড়িয়ে দেশটির তৈরি দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘শানদং’কে দক্ষিণ চীন সাগরের কাছে মোতায়েন করতে
চলেছে চীন। স্থানীয় চীনা সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ
করা হয়। যেখানে বলা হয়,
দেশের অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরেই
মোতায়েন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যখন আমেরিকা এবং আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলোর
সঙ্গে বেইজিংয়ের টানাপড়েন বাড়ছে তখন এই সংবাদ প্রকাশ্যে এলো। আর এই ঘটনা ঘিরেই নতুন
করে উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কা করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: