স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রাজশাহী
অঞ্চলে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পরিসংখ্যান শুধুমাত্র রামেক হাসপাতালের। এর বাইরেও বিভিন্ন
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুর হার আরও বেশি।
মনোরোগ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য কলহ, সংসারে অভাব-অনটন, পরকীয়া এবং যুবক-যুবতীদের পছন্দমতো বিয়ে না হওয়া, আত্মধারণা বা আত্মবিশ্লেষণের ঘাটতির কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার
ঘটনা। কয়েক বছর থেকে এ প্রবণতা
আরও বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে।
রামেক
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ততথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষরা প্রধানত দুভাবে আত্মহত্যা করে থাকেন। আত্মহত্যার একটি ধরন
হচ্ছে, গলায় ফাঁস এবং আরেকটি বিষপানে আত্মহত্যা। তবে হারপিক পান ও ঘুমের
ওষুধ সেবনেও আত্মহত্যা করে থাকেন কিছু মানুষ। গত বছরে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে
গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন এবং বিষপান করে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯০ জন। হারপিক পান ও ঘুমের
ওষুধ সেবনেও কয়েকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. এনামুল হক যুগান্তরকে বলেন, আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। পারিবারিক সম্পর্কগুলোর
পারস্পরিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি
আরও বলেন, একজন ব্যক্তির আত্মহত্যার প্রবণতা মূলত ছোট বয়স থেকে গড়ে ওঠে। বাবা-মায়ের অতিরিক্ত
শাসন বা অবহেলার কারণে এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া পরিবার ছোট হয়ে আসছে। শিশুরা মেলামেশা বা তার ভাব প্রকাশের জন্য
কাউকে পাচ্ছে না। ফলে বাড়ে হতাশা ও একাকিত্ব। এটি শিশুর মধ্যে থেকে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
মানসিকভাবে এটি বহন করতে থাকে। কেউ কিশোর বয়সেই আত্মহত্যা করে। তবে এসব মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতা বার্ধক্যে
গিয়ে বাড়ে। শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমে আত্মহত্যার ঘটনা কমানো যেতে পারে
বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খবর বিভাগঃ
বিভাগীয় সংবাদ
রাজশাহী বিভাগ
0 facebook: