স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ কাতারের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, একজন নারীকে কেন্দ্র করেই
উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। রুশ গণমাধ্যম আরটি নিউজ
শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করে।
গতকাল
বৃহস্পতিবার কাতারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি বলেছেন, আরব আমিরাতের এক নাগরিকের স্ত্রীকে দেশটির সরকারের কাছে
হস্তান্তর না করায় কাতারের বিরুদ্ধে আগ্রাসনমূলক অবস্থান নেয় এবং কাতার ভিত্তিক
গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়। পরে এই নারীকে কেন্দ্র করে কাতারের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় সৌদি
আরবও।
২০১৩ সালে ঐ
দম্পতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে কাতারে চলে আসেন। এর কিছুদিন পরই ঐ নারীর স্বামী যুক্তরাজ্যে চলে যায়। তবে পারিবারিক আত্মীয়তার কারণে
ঐ নারী কাতারেই থেকে যান। যখন ঐ নারী তার পাসপোর্ট নবায়ন করতে কাতারে অবস্থিত আরব আমিরাতের দূতাবাস যায়
তখন আমিরাত কর্তৃপক্ষ তার আবেদন নাকচ করে দেয় এবং ঐ নারীর প্রত্যর্পণ চায়।
কাতারের পরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরো বলেছেন, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ঐ
নারীর প্রত্যপর্ণ চেয়ে কাতারের আমির শেখ তামিন বিন হামাদ আল-থানির কাছে একটি
অনুরোধ পাঠায়। কিন্তু কাতারের আমির এই অনুরোধ
প্রত্যাখ্যান করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, যুবরাজ তামিম ঐ নারীকে প্রত্যর্পণে রাজি হননি। তার কারণ ঐ নারী কোনো অপরাধী
বা তালিকাভুক্ত আসামি নন। তাকে ফেরত পাঠালে কাতারের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হতো।
ছয় মাস আগে
আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেয়ার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে
সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এই ছয় দেশ কাতারের সঙ্গে ভূমি, সমুদ্রসীমা ও আকাশ সীমার সব
যোগাযোগ ছিন্ন করে।
গত দু’মাস আগে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার ওপর হামলার
চালানোর নির্দেশ দেয়ায় আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সঙ্কট আরো খারাপের দিকে যায়। কাতার এর ব্যাখ্যা দাবি করে। তখন আরব আমিরাত জানায়, ঐ নারীকে হস্তান্তর করলে আমিরাত এই পদক্ষেপ বন্ধ করবে। কিন্তু দোহা তাদের দাবি আবার
প্রত্যাখ্যান করে।
আল-থানি
ব্যাখ্যা করে বলেন, এরপর আরব আমিরাত এই বিষয়ে
সৌদির হস্তক্ষেপ চায়। কিছুদিন পর কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের
সঙ্গে বৈঠক হয়। তখন নায়েফ কাতারের আমিরকে বলেন,
যদি ঐ নারীকে আমিরাতের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাহলে কোনো
ধরনের বিবাদ হবে না।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: