26 January 2018

ট্রেন যাত্রায় সময় কমাতে ঢাকা-চট্টগ্রামে আসছে হাইস্পিড ট্রেন


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রাজধানী ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমাতে দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারট্রেন চলাচলের জন্য নেওয়া হয়েছে হাইস্পিড (উচ্চগতি) স্ট্যান্ডার্ড গেজ প্রকল্পএটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সাথে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের যাতায়াত হবে আরও সহজ

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাইস্পিড রেলপথ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইনের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে শর্টলিস্টে রাখা হয়েছেআগামী ২৯ জানুয়ারি তাদের প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্ধারিত তারিখএর পরই নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে সমীক্ষার কাজ

প্রকল্পটি নিয়ে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সময়ের দাবিএ জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবেএর পর দ্রুত শুরু হবে নির্মাণ কাজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম ভায়া কুমিল্লা বা লাকসাম দ্রুতগতির রেলপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরে হাইস্পিড (বুলেট) ট্রেন চালুর নির্দেশ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বর্তমান দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটারপ্রস্তাবিত রেললাইনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩০ কিলোমিটার

বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রথমে উল্টোপথে টঙ্গী, পুবাইল হয়ে ঘুরে কুমিল্লা যেতে হয়দ্রুতগতির রেলপথটি যাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হয়েএতে যাত্রীদের সময় বাঁচার পাশাপাশি রেলেরও কমবে অপারেটিং ব্যয়একইভাবে কমবে পরিবহন ব্যয়ওফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করতে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট আহ্বান করা হয় গত বছর

এর পর ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করা হয়এর মধ্যে ১. কোরিয়া রেল নেটওয়ার্ক অথরিটি, ২. আইডিওএম, ৩. চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন, ৪. চায়না রেলওয়ে ফার্স্ট সার্ভে অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট গ্রুপ, ৫. ইয়োসিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং ৬. আরদানুই ইনজেনিয়ারিয়া

এর মধ্যে আইডিওএম কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ারিং নামের প্রতিষ্ঠানটি ই-মেইলে জানিয়েছে, তারা অংশ নেবে নাফলে শর্টলিস্টেড প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচেআগামী ২৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার কথা রয়েছেএর পর নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে সমীক্ষার কাজএ কাজটি হবে জিওবি অর্থায়নে

হাইস্পিড ট্রেনের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রসঙ্গে রেলের কর্মকর্তারা বলেন, সমীক্ষা ও ডিজাইনের পর রেলের উদ্যোগে বিভিন্ন দাতা সংস্থা বা অন্য উৎস থেকে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হবেহাইস্পিড ট্রেন চালু হলে ঢাকা থেকে ২ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে যাওয়া সম্ভব হবে

বিমানযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম গিয়ে বিমানবন্দর থেকে দুই নগরী পর্যন্ত সড়কপথে যাতায়াতের সময় যোগ করলে আকাশপথের চেয়েও এতে সময় সাশ্রয় হবেএ ছাড়া সহজ হবে পণ্য পরিবহনওকারণ রাতের একটা বড় অংশের যাত্রীদের যাতায়াতের তেমন প্রয়োজন হবে নাতখন ওই পথে চলবে পণ্য পরিবহন


শেয়ার করুন

0 facebook: