![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যে সীমান্ত রয়েছে তা পুরোপুরি সন্ত্রাসীমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব
তাইয়্যেব এরদোগান। মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সামরিক
বাহিনী ৯ দিন আগে অভিযান শুরু করেছে। সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদেরকে তুরস্ক সন্ত্রাসী মনে করে। গতকাল রোববার
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এক বক্তৃতায় বলেছেন, কুর্দি গেরিলা
গোষ্ঠী পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে আফরিন
এলাকার চলমান অভিযান বাড়ানো হতে পারে।
তিনি বলেন,
‘ধীরে ধীরে আমরা আমাদের পুরো সীমান্ত পরিষ্কার করব।’ অভিযান নিয়ে
আমেরিকা ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, তুরস্কের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা জেবেল বুরসায়া পাহাড় দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তুর্কি গণমাধ্যম এ পাহাড়কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান
হিসেবে উল্লেখ করে আসছিল। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ খবর
নিশ্চিত করেছে।
এ পাহাড়ের
কাছেই সিরিয়ার আজাজ শহর অবস্থিত। সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল তুর্কি বিমান হামলায়
আফরিনের এক পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া, একটি প্রাচীন মন্দিরও ধ্বংস
হয়েছে। অন্যদিকে,
কুর্দি গেরিলা প্রভাবিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা
এসডিএফ বলেছে, তুর্কি সেনাদের সঙ্গে মারাত্মক
সংঘর্ষ চলছে। কুর্দি নেতারা তুর্কি অভিযানের
উপযুক্ত জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
‘মার্কিন
সমর্থিত কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে কোনো সীমিত অভিযান হবে না’
তুরস্কের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেছেন, সিরিয়ায় তৎপর মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আফরিন এলাকায়
অভিযান চালানো হবে না; এ অভিযান মানবিজ শহর পর্যন্ত
বিস্তৃত হতে পারে।
চাভুসওগ্লু
বলেন, ‘ওয়াইপিজে এবং পিকেকে গেরিলাদের বিরুদ্ধে শুধু আফরিন
নয়, মানবিজ শহর এমনকি ইউফ্রেটিস নদীর তীর পর্যন্ত সেনা
অভিযান চলতে পারে।’ কানাডার
ভাংকুভারে গত মঙ্গলবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। সিরিয়ার কুর্দি
সংগঠন পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি-কে সন্ত্রাসী সংগঠন
হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। আংকারা মনে করে- এ সংগঠনের সঙ্গে তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলা সংগঠন
পিকেকে’র সম্পর্ক রয়েছে।
গত রোববার
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ঘোষণা করেছেন যে, ওয়াইপিজি’র নিয়ন্ত্রণে থাকা আফরিন শহরে তুর্কি সেনারা অভিযান
চালাবে। তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তের
জন্য এসব গেরিলা হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছিল, ওয়াইপিজি’র নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের ৩০ হাজার
সদস্যকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সীমান্তরক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হবে। মার্কিন এ উদ্যোগ তুরস্ক ও আমরিকার মধ্যকার সম্পর্ক
মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে সতর্ক করেছেন চাভুসওগ্লু।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: