স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ডে-কেয়ার সেন্টারে খালেদা জিয়াকে রাখতে পারে কারা অধিদফতর। বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ২০ মিনিটে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এ ছাড়া তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। রায়ের পর বিকাল ৩টার কিছুক্ষণ আগে খালেদা জিয়াকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের করে কেন্দ্রীয় আদালতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রায় হওয়ায় রোববারের আগে সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে ওই দিনের আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করা সম্ভব হচ্ছে না।
রায়ের পর আদালতে উপস্থিত খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এ রায় পক্ষপাতদুষ্ট। রোববারের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এটি প্রতিহিংসামূলক রায়। জনগণ থেকে খালেদা জিয়াকে বিছিন্ন করতে আর রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিতেই এ অশুভ চেষ্টা।
তিনি বলেন, রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেলেই জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাব আমরা। কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হবে। এ জন্য সেখানকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ডে-কেয়ার সেন্টারটি প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব ও পুলিশ। জনসাধারণের চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
প্রায় দেড় বছর আগে পুরনো এ কারাগার থেকে বন্দিদের ধাপে ধাপে কেরানীগঞ্জে নির্মিত নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের পর দৃশ্যত এটি এখন ফাঁকা পড়ে আছে। বুধবার দুপুরে র্যাবের সিভিল টিমের সদস্যদের কারাগারের পুরনো অভ্যর্থনা ভবনসংলগ্ন বিদ্যুতের খুঁটিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। কারা অধিদফতরের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখা হবে। সেখানে অতিরিক্ত ১০ জন কারারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ভেতরে-বাইরে মিলে দুজন ডেপুটি জেলার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মহিলা জেলার কারাগারের ভেতরে এবং পুরুষ জেলার বাইরে অবস্থান করবেন।
0 facebook: