স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে বিএনপি, বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তারেক রহমানকে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকালে গাজীপুর জেলার ভোগড়ায় বিআরটি প্রকল্পের কাজ
পরিদর্শন করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে? যার আগে সাত বছর দণ্ড হয়েছে। তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি। অপরাধী হিসেবে দণ্ডিত। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছর কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকা
জরিমানা হয়েছে’।
খালেদা জিয়ার
দুর্নীতি মামলার রায়ের পর দেশের রাজনৈতিক সংকট বাড়েনি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকটই বরং বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়
দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। তারেক রহমানসহ মামলার পাঁচ
আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। প্রত্যেক আসামিরই দুই কোটি টাকা করে জরিমানা হয়।
গতকালের রায়ের
পর বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও বলেন, ‘তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।’ কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার
মামলা সরকার করেনি, হস্তক্ষেপও নেই। খালেদা জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা
দিতেন, তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেত। এখন তিনি নিজেই দেরি করে
নির্বাচনকে সামনে রেখে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।’ সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ
সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,
গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন
রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
0 facebook: