আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পেছনে গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করছে পাঁচ যুবক। রাত তখন সাড়ে ৯টা। রাস্তায় দৌড়াচ্ছেন এক তরুণী। তাদের হাত থেকে ইজ্জত বাঁচাতে অন্তত ২০ মিনিট দৌড়ালেন
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ওই তরুণী।
কলকাতার
বাগুইআটি থানায় ৬ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছে কলকাতার পুলিশ। এরই মধ্যে তরুণীকে ধাওয়ার কাজে ব্যবহৃত বিশ্বজিৎ
মজুমদারের ব্যক্তিগত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিশ্বজিতের সঙ্গে আরও চার সহযোগী কিশোর বিশ্বাস,
অভিষেক দাস, অভিষেক বাচার ও সজল দাসকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে ওই
তরুণী বলেন, রাতে গলিতে গলিতে দৌড়নোর কথা ভুলতে পারছি না। পুরোটাই আতঙ্ক, ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েছি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে কেষ্টপুরে একটি
বাড়িতে সিঙ্গেল থাকতেন আসামের বাসিন্দা ওই তরুণী। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার কিছু পর ফুটব্রিজ
হয়ে বাড়ির রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। সমরপল্লী এলাকায় একটি দোকান থেকে রুটি কেনার সময় লক্ষ্য করেন, একটি সাদা রঙের সিডানের হেডলাইট ফেলা হচ্ছে তার ওপরে। গাড়িতে পাঁচ যুবক।
শুরুতে অতটা
আমলে নেননি বিষয়টি। কিন্তু রুটি কিনে হাঁটতে শুরু
করে বুঝতে পারেন, গাড়িটি পিছু নিয়েছে। বিপদের আভাস পেয়ে গলিতে ঢুকে পড়েন তরুণী। কিন্তু গলি থেকে বড় রাস্তায় বেরোতেই দেখেন, গাড়িটি সেখানে দাঁড়িয়ে। তখন দৌড়ে পেছনের আরেকটি গলি ধরেন তিনি। কিন্তু ওই গলির মুখে পৌঁছেও দেখেন গাড়িটি সেখানেও
পৌঁছে গেছে। যুবকদের গাড়ি থেকে নামতে দেখে
আবার দৌড়তে শুরু করেন তরুণী।
এর পর সামনেই
আরেক তরুণীকে দেখেন। তিনি একটি বাড়িতে ঢোকার জন্য
তালা খুলছেন। অপরিচিতের কাছে গিয়েই তিনি
বলেন, ‘আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিন।’
পাল্টা প্রশ্ন করেন অন্য তরুণীটি। যুবকরা তখন আরও এগিয়ে আসছে! তখন জোর করেই ওই বাড়িতে ঢুকে
যান তরুণীটি। যার কাছে আক্রান্ত তরুণী
সাহায্য চেয়েছিলেন, তিনিও ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বাড়ির মালিক তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেন রাত সাড়ে ১০টা
নাগাদ।
বিধাননগর
কমিশনারেটের ডিসি (ডিডি) শবরী রাজকুমার বলেন, বিনীত দেশাই নামে একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে ঘটনার কথা প্রথম জানা যায়। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যায়ভাবে রাস্তা আটকানো,
অসৎ উদ্দেশ্যে পিছু নেয়া ও কটূক্তির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: