10 February 2018

সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন এটা ভাবতে আমার লজ্জা লাগেঃ খাদ্যমন্ত্রী


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি আয়োজিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এই দেশে দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেলে। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এটা ভাবতে আমার লজ্জা লাগে।

তিনি বলেন, বিএনপির লজ্জা না লাগতে পারে, তবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়া দেখে সব রাজনৈতিক কর্মীকে শিক্ষা নিতে হবে।

আলেমদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু হলেও তারা সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না। কওমি মাদ্রাসার কেউ সন্ত্রাসবাদে জড়িত নয় মন্তব্য করে কামরুল বলেন, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিতরাই এখন সন্ত্রাসবাদে জড়াচ্ছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এবং ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

একিই অনুষ্টানে দুর্নীতিবাজদের সাজার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও তার বক্তব্যে বলেছেন, অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক, দুর্নীতি করলে তাকে সাজা পেতেই হবে। তাদের পরিণতি হবে খালেদা জিয়ার মতো। এ সময় তিনি বেগম জিয়ার পরিণতি থেকে দুর্নীতিবাজদের শিক্ষা নিতে বলেন।

রাজধানীর উত্তরায় ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি আয়োজিত সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কামাল বলেন, দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না; সেটার প্রমাণ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জেলে যাওয়া।

তিনি বলেন, দেশ সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে সরকার যেমন সফল হয়েছে, তেমিন এ দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করে সোনার বাংলা গড়তে কাজ চলছে। ওলামা মাশায়েখদের মসজিদে সন্ত্রাস, সন্ত্রাসের পাশাপাশি দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলারও অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশ এগোচ্ছে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার রায় সরকার লিখে দিয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। এই মামলা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই চলছে। তার মধ্যে অনেকবার কোর্ট ও বিচারক পাল্টানো হয়েছে বেশ কয়েকবার। সুতরাং এটা নিয়ে কথা না বললেই হয়। তবে উচ্চ আদালতে আপিলের যেহেতু সুযোগ আছে তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানেও যেতে পারেন। বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন।

এই রায়কে ঘিরে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নৈরাজ্য করার পাঁয়তারা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণ তা প্রতিহত করবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: