স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনবারের সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। তাকে একজন সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। এটি অন্যায়, আমরা এ বিষয়ে আদালতে যাব।
তিনি বলেন, নির্জন কারাবাস বলতে যা
বোঝায়, ম্যাডামকে তা দেওয়া হয়েছে। জনমানবহীন পরিবেশে রাখা হয়েছে। ‘সাধারণ কয়েদীদের যা খেতে
দেওয়া হয়, খালেদা জিয়াকেও তা-ই দেওয়া হয়েছে,
যা প্রায় অখাদ্য।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, যে গৃহ পরিচারিকাকে খালেদা
জিয়ার সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে, যাকে ছাড়া ম্যাডাম ১৫-২০ বছর চলতে পারেন না, সেই ফাতেমাকেও এখনো থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা সরকারেরই দেখা দরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান ব্যারিস্টার মওদুদ।
এ সময় মওদুদ বলেন, রায়ের সত্যায়িত কপি পেলে
আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার জামিনের জন্য আপিল করা হবে।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে
বিএনপিপন্থী ৪ আইনজীবী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও ডিভিশন ব্যবস্থার জন্য একটি আবেদন
নিয়ে কারাগারে যান। তবে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের দেখা না হওয়ায় আবেদন জমা
দিতে পারেননি।
পরে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে
কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ ৫ আইনজীবী কারাগারে প্রবেশ
করেন। বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে সেখান
থেকে বের হন তারা।
ব্যারিস্টার মওদুদ ছাড়া
কারাগারে প্রবেশ করা অন্যরা হলেন- খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য সাবেক
অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী,
অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব
হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
এর আগে শুক্রবার বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে দেখা
করেন তার স্বজনেরা।
খালেদার ছোট ভাই শামীম
এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক এস্কান্দার এবং খালেদা জিয়ার বোন
সেলিনা ইসলামকে এদিন বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করানো হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে তারা
বের হয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের
কারাদণ্ড দেন।
তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামিকে
দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব
আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
0 facebook: