স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন এবং রায়ের সার্টিফাইড কপির ব্যাপারে
ইচ্ছাকৃতভাবে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেনে দলটির মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলম।
তিনি বলেন,
যে বেআইনিভাবে তার রায়ের সত্যায়িত কপি দেয়া হচ্ছে না,
এটা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। আইনে রয়েছে, ৫ দিনের মধ্যে
সার্টিফাইড কপি দেয়ার কথা। কিন্তু ৮ দিন হলেও সেটা এখনও দেয়া হয়নি। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইনকে হাতে নিয়ে বেআইনি করছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)
সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ
নেতৃবৃন্দের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার
মুক্তিকে বিলম্বিত করা চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরে রাখাই সরকারের
প্রচেষ্টা। কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলনের
মধ্যে দিয়ে এর জবাব দেবে।
প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টাব্যাপী
এ বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবীরা সমর্থন দিয়েছেন। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সর্বোচ্চভাবে অংশগ্রহণ করবেন। আর আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই তাকে
(খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হবে।
এক প্রশ্নের
জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, রায়ের কপি দেয়ার এখনও পর্যন্ত যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা আমাদের
দেয়নি। রায়ের দিনই আমরা সত্যায়িত কপি
চেয়েছিলাম। কিন্তু দেয়নি। আমাদের হাইকোর্টে বিধান আছে,
একটি সত্যায়িত কপি দ্বারা আপিল ফাইল করা যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সত্যায়িত
কপিটিও তারা দেইনি।
রায়ের পর সেই
রায় পরিবর্তন করার বিধান আছে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায় দেয়া পর কোনো শব্দ পরিবর্তন করারও সুযোগ নেই। ৫ দিনের মধ্যে রায়ের কপি দেয়ার
বিধান রয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত
আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু
মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার
মাহবুব হোসেন, মীর নাসির, নিতাই রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক
সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
0 facebook: