আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ক্রুজ মূলত একটি বর্ণবাদী খ্রিষ্টান জঙ্গি গ্রুপের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের
ফ্লোরিডায় স্কুলে গুলি করে ১৭ জনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার নিকোলাস ক্রুজ
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার
নিউইয়র্ক টাইমস এর খবরে বলা হয়- স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিকোলাস জানিয়েছে,
স্কুলের হলওয়ে এবং মাঠে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি
করেছে সে। অন্যদিকে আরেকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেইলি বিস্ট
জানিয়েছে, ক্রুজ একটি সাদা চামড়ার বর্ণবাদী জঙ্গিগ্রুপের
সদস্য। তাকে ওই গ্রুপের পক্ষ থেকে ‘আধাসামরিক প্রশিক্ষণ’ও দেয়া হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে ক্রুজকে একটি অস্ত্রও সরবরাহ করেন ওই গ্রুপের
একজন সদস্য। সাদা চামড়ার বর্ণবাদী জঙ্গি ওই গ্রুপটি নাম ‘রিপাবলিক অব ফ্লোরিডা’। সংগঠনটির ক্যাপ্টেন জর্ডান জেরেব ডেইলি বিস্ট’কে বলেন, ১৯ বছর বয়সী ক্রুজ তাদের সংগঠন
থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো। তবে স্থানীয় বরওয়ার্ড কাউন্টির পুলিশ প্রধান স্কট ইসরায়েল বলেছেন, এ দাবির সত্যতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জর্ডান জেরেব
বলেন, এটা খুবই কঠিন একটি বিষয়। সারাদিন ধরে ফোন আসছিলো আমার কাছে। আমি অন্য অনেক কিছু করতে পারি,
কিন্তু মিথ্যা বলি না। মিথ্যা বলতেই পারি না। সে (ক্রুজ) আমাদের সংগঠনেরই একজন ছিল। খুব বেশি সক্রিয় ছিল না। তবে তালাহাসিতে (ফ্লোরিডা
রাজ্যের রাজধানী) আমাদের সংগঠনের কার্যালয়ে আসতো। নিজের ডায়েরি
দেখে জেরেব জানান, নিকোলাস ক্রুজকে সংগঠনের লোকজন
‘নিক’ বলে ডাকতো।
এছাড়া মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন এই তরুণ। স্কুলের বন্ধুরা জানিয়েছে,
তাকে ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ লেখা ক্যাপ পরতে দেখা গেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য
বৃহস্পতিবারই ক্রুজকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এদিকে
বৃহস্পতিবার ক্রুজকে আদালতে হাজির করা হয়। গত বুধবার পার্কল্যান্ডে মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই
স্কুলে ঢুকে ১৭ জনকে গুলি করে হত্যা করেন ক্রুজ। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলির পর তাকে আটক করতে
সমর্থ্য হয় পুলিশ। সে ওই স্কুলেরই সাবেক ছাত্র। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এক সময় বহিষ্কার করা হয়েছিল স্কুল থেকে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: