স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আর আমাদের কেউ অবহেলা করতে পারে না। নিজেদের প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্বে একটা মর্যাদা পাচ্ছি বলে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। ভুক্তভোগী হিসেবে আমাদের বিষয়টি মনে আছে। পাকিস্তান থেকে কখনও বলা হয়েছে আরবি হরফে, আবার কখনও রোমান হরফে বাংলা লেখার কথা বলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ভাষা ও স্বাধীনতা নিয়ে এতো ষড়যন্ত্রের পরও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চারদিন ব্যাপী এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলায় প্রথম ভাষণ দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রতিবছর জাতিসংঘের অধিবেশনে যতোবার গিয়েছি আমিও বাংলায় ভাষণ দিয়েছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সবার সহযোগিতা দরকার। এছাড়া আগামী প্রজন্মের কাছে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। এরপর যারা ক্ষমতায় আসে তারাও আইয়ুব-ইয়াহিয়ার মতো ক্ষমতা দখল করে। অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা যেন নিজেদের ভাষা ও ঐতিহ্যকে ভুলে না যাই। তবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যে জর্জরিত ছিল তা থেকে আমরা এখন অনেকটা মুক্তি পেয়েছি। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবং ঢাকায় ইউনেস্কোর প্রধান প্রতিনিধি বি কালদুনও বক্তৃতা করেন।
0 facebook: