স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ফরিদপুরের
সালথায় সুমাইয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে মায়ের মৃত্যুর শোকে চোখে অশ্রু
নিয়ে এবার এসএসসির ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা দিয়েছে ।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি)
সালথা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয় সুমাইয়া। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে শোকাছন্ন পরিবেশ
বিরাজ করে।
মায়ের মৃত্যুর
সংবাদ ছড়িয়ে পরার পর এক হাতে চোখ মুছতে মুছতে ও অন্য হাত দিয়ে খাতায় উত্তরপত্র
লিখতে দেখা গেছে সুমাইয়াকে। এ সময় পরীক্ষার হলে থাকা তার সহপাঠীদের চোখও অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
সংবাদ পেয়ে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান
পরীক্ষা কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে সুমাইয়াকে সান্ত্বনা দেন। সুন্দরভাবে তার পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে
স্কুল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তিনি।
এসএসসি
পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর গ্রামের মুহম্মদ সহিদ মোল্যার মেয়ে। সে সালথা উপজেলার আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
উপজেলা মৎস্য
কর্মকর্তা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সৈকত মল্লিক ও উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে সন্তান প্রসব করার সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যবরণ করেন
সুমাইয়ার মা।
সোমবার সকাল
সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়ার মায়ের লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। সকাল ১১টায় সুমাইয়ার মায়ের লাশ দাফন করা হয়েছে বলে
জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান খান।
এর আগে এসএসসি
পরীক্ষার প্রথম দিনে ফরিদপুরের সদরপুরে তাহমিনা নামে এক শিক্ষার্থীর পিতার মৃত্যু
হয়। তাহমিনা পিতার মরদেহ বাড়িতে
রেখেই পরীক্ষায় অংশ নিলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
শিক্ষা
0 facebook: