আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নিজের আকাশসীমাকে ইহুদিবাদী ইসরাইলগামী বিমানগুলোকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব। গত এক বছর আগে যুবরাজ মুহম্মাদ বিন সালমান ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তারই আওতায় ইসরাইলকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ইসরাইলের গণমাধ্যম বুধবার জানিয়েছে, রিয়াদ সরকার ভারতের এয়ার ইন্ডিয়াকে সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে তেল আবিবে সরাসরি বিমান পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে তেল আবিব পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে। বর্তমানে মুম্বাই ও তেল আবিবের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে ইসরাইলের বিমান সংস্থা এল আই এবং ইয়েমেনের দক্ষিণে লোহিত সাগরের ওপর দিয়ে এসব বিমান চলে। তাতে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিমানগুলোর আট ঘণ্টা সময় লাগে। আগামী মার্চ মাস থেকে নতুন চুক্তি কার্যকর হবে এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সৌদি থেকে জ্বালানি নিতে পারবে। পাশাপাশি বিমানের টিকেটের দামও কমাবে সংস্থাটি।
নতুন রুটে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়াকে বড় অংকের অর্থ দেবে ইসরাইল এবং বিনিময়ে ভারত থেকে ইসরাইলে বিপুলসংখ্যক পর্যটক যাবেন বলে আশা করছে তেল আবিব। তবে এ খবর অস্বীকার করেছেন সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান পরিচালনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র। গত ৭০ বছর ধরে সৌদি আরব নিজের আকাশসীমার ওপর দিয়ে ইসরাইল অভিমুখে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে রেখেছে। এ অবস্থায় ইসরাইলি গণমাধ্যমের এ খবর যদি সত্য হয় তাহলে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হবে। দুই পক্ষ বেশ আগে থেকেই গোপনে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে আসছে।
ইসরাইল থেকে আয়রন ডোম কেনার চেষ্টা করছে সৌদি আরব: রিপোর্ট
ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ কেনার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। ইরান-বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে সৌদি আরব ও ইসরাইল যখন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে খবর আসছে তখন আয়রন ডোম কেনার প্রচেষ্টা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলো। সুইজারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত জার্মান ভাষার পত্রিকা ‘বাসলার জেইতুং’ রিয়াদে অবস্থানকারী একজন ইউরোপীয় অস্ত্র ঠিকাদারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সৌদি আরব ইসরাইল থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চাইছে। এর মধ্যে কথিত ‘ট্রফি অ্যাক্টিভ প্রটেকশন সিস্টেম’ বা এপিএস রয়েছে। পত্রিকার খবর অনুসারে, সৌদি সামরিক বিশেষজ্ঞরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছেন। সুইস পত্রিকাটি আরো জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বেড়ে চলা প্রভাব রুখে দিতে ইসরাইল ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করছে। এজন্য দুই পক্ষ গোয়েন্দা সহযোগিতাসহ সামরিক ও নিরাপত্তা বিভাগে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সহযোগিতা বাড়িয়েছে। সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে প্রকাশ্য কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তবে ধারণা করা হয়- তাদের মধ্যে গোপন সহযোগিতা রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার নানামুখী খবর বের হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: