01 March 2018

শিশুর অতিরিক্ত কান্নায় যেসব ক্ষতি হতে পারে?


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ জন্মের পরে নবজাতকরা মূলত অসহায় থাকে জন্মের পরে অনেক শিশুকে অস্বাভাবিক কান্না করতে দেখা যায়তাদের যে কোনো ধরনের সমস্যা তারা কান্নার মাধ্যমে জানান দেয়তবে অনেক বাবা-মা শিশুর কান্নাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে থাকেনকিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়শিশুর কান্নাকে কখনোই স্বাভাবিকভাবে নেয়া ঠিক নয়

সাধারণত ক্ষুধা, ডায়াপার ভেজা কিংবা আদরের অভাবে শিশু কান্না করে থাকে বলেই এত দিন সবাই জেনে এসেছেনকিন্তু সবকিছুকে সব সময় স্বাভাবিক নেয়া ঠিক নয়তাই শিশু কেন কান্না করে, তা বুঝতে চেষ্টা করুন

জন্মের প্রথম কয়েক মাস জন্মের প্রথম দুই থেকে তিন মাস শিশু অতিরিক্ত কান্না করলে তা স্বাভাবিক ব্যাপার মনে না করাটাই উত্তমএ সময় থেকে শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও উৎকর্ষতা শুরু হয়ে যায়

অতিরিক্ত কান্না

অতিরিক্ত কান্না শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেঅতিরিক্ত কান্না শিশুর বৃক্করস গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়যার ফলে শিশু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে

শিশুর শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশ

কান্নার কারণ বুঝতে ব্যর্থ হলে কিংবা কান্নাকে অবহেলা করলে তা শিশুর গঠন ও বিকাশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারেতাই শিশুর কান্নাকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়

শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ

কান্নাকে অবহেলা করলে তা সেই শিশুর জন্য ভবিষ্যতে মারাত্মক ফল ডেকে আনতে পারেকেননা, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যকারিতার সঙ্গে এর যোগ রয়েছে
উপস্থিত বুদ্ধি
অতিরিক্ত কান্না শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতি করেকান্নার মাধ্যমে বেড়ে উঠেছে সে বড় হয়ে সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়উপস্থিত বুদ্ধির ক্ষেত্রেও তা মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে

বদরাগী


অতিরিক্ত কান্না শিশুর জন্য ক্ষতিকরমাত্রারিক্ত কান্নার অভ্যাস শিশুকে বদরাগী হিসেবে গড়ে তোলেঅতিরিক্ত কান্না শিশুর মনে জেদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ফলে বড় হলেও সে বদরাগী স্বভাবের হয়ে উঠতে পারে যদিও জন্মের পর শিশু হাসি আর কান্নার মাধ্যমে তাদের মনোভাব প্রকাশ করে থাকেতাই হাসিকে যেমন গুরুত্ব দেয়া উচিত, তেমনই কান্নাকেও সমান গুরুত্বের চোখেই দেখ উচিতআর শিশুর কান্না অস্বাভাবিক মনে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে


শেয়ার করুন

0 facebook: