স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ দেশের ১২ ভাগ
মানুষ গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের ঝুঁকিতে রয়েছে। আর ২ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ গ্লুকোমাজনিত চোখের রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা
যাবে ততই মঙ্গল। সোমবার যুগান্তরকে এসব তথ্য
জানান জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের গ্লুকোমা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার
মুহম্মদ মুনির।
আন্তর্জাতিক
গ্লুকোমা দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান
ইন্সটিটিউটের সামনে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘প্রতিকার যোগ্য অন্ধ্যত্ব প্রতিরোধ করি’। শোভাযাত্রায় ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা,
ইন্সটিটিউটের গ্লুকোমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইফতেখার
মো. মুনিরসহ চিকিৎসকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত
গ্লুকোমা রোগীদের বিনামূল্যে স্ক্রিনিং করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা
জানান, প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের মধ্যে একটি হল চোখে ছানি পড়া
এবং অন্যটি গ্লুকোমা। এই দুটি রোগ হলে দ্রুত রোগ নির্ণয়
করে চিকিৎসা নিতে পারলে অন্ধত্ব নিবারণ করা সম্ভব। গ্লুকোমা হল চোখের প্রেসারজনিত রোগ। ব্লাড প্রেসারের মতো চোখেরও প্রেসার রয়েছে। এই প্রেসার বেড়ে গেলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমতে
থাকে। প্রেসার বাড়তে বাড়তে একসময়
মানুষ অন্ধত্বের দিকে চলে যায়। তবে যে অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা যাবে সেই অবস্থা থেকে চোখের প্রেসার
নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্ব থেকে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। যুগান্তর
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: