আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার পূর্ব
ঘৌটায় সরকারি বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণে নিহতদের লাশ দাফনেরও সুযোগ পাচ্ছেন না
স্বেচ্ছাসেবীরা। বোমা বর্ষণ থামলে দাফন করা হবে
বলে সারিবদ্ধভাবে লাশ রেখে দেয়া হচ্ছে। চারদিকে লাশ আর লাশ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাশগুলো এক জায়গায় করতে পারলেও দাফন করা
সম্ভব হচ্ছে না।
পূর্ব ঘৌটায়
সিরিয়ান স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। খবর আলজাজিরার। মিত্র রুশ বাহিনীর সহায়তায় ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্ব
ঘৌটায় অভিযান চালাচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনী। এটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অভিযানে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৫০ জনে।
এর মধ্যে ২৪০ জন
শিশু রয়েছে। এরই মধ্যে অভিযানে
গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। সিরিয়ার সৈন্যরা অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় শহর দৌমা ও অপর একটি
শহরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর
হিউম্যান রাইটস। স্বেচ্ছাকর্মীরা বলছে, প্রকাশিত ছবিতে এমন কিছু জায়গা দেখানো হয়েছে যেখানে আসাদ
সরকার ও তার ঘনিষ্ট মিত্র রাশিয়ার লাগাতার চলমান বোমা হামলায় নিহত নিরাপরাধ
নাগরিকদের লাশ জমা করে রাখা হয়েছে। বিরতিহীনভাবে তীব্র বোমা হামলার কারণে মানুষ একের পর এক নিহত হচ্ছে। লাশগুলো শহরের গোরস্থানে দাফন করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্পেনীয়
সংবাদপত্র আল বাইসকে ঘৌটার একটি হাসপাতালের এক ডাক্তার বলেন, এখানে নিহতদেরকে দাফনের সময় নেই এবং সময় নেই তাদের সংখ্যা
গণনারও। এমনকি আমরা হাসপাতালের পেছনের
উঠানে ৩০টি লাশ সারি করে রেখে দিতে বাধ্য হয়েছি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: