স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিচারিক আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের সাজা ভোগের ২৭ বছর পর হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেলেন যশোরের আব্দুল কাদের ও মফিজুর রহমান। চোরাচালান মামলায় চূড়ান্ত রায়ের জন্য প্রায় তিন যুগ অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।
জানা যায়, অবৈধভাবে ভারত থেকে ছয়টি গরু পাচার করে আনার অভিযোগে ১৯৮৬ সালে যশোরের শার্শা থানায় আব্দুল কাদের ও মফিজুর রহমানের নামে মামলা হয়। তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) ল্যান্স নায়েক আমির আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এর মধ্যে মফিজুর রহমান মারা যান।
১৯৮৬ সালেই যশোরের আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠান। এর পরের বছর ১৯৮৭ সালে তারা সাজার বিরুদ্ধে যশোরে হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল করেন। কিন্তু সে বছরই যশোরে হাইকোর্টের বেঞ্চ অবলুপ্ত হলে আপিল ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। এরই মধ্যে ১৯৯১ সালে তারা সাজার মেয়াদ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। কিন্তু খালাস চেয়ে তার করা আপিল তখনও শুনানি হয়নি। ৩১ বছর পর হাইকোর্টে কাদেরের আপিল শুনানির জন্য ওঠে। আদালত সমন জারি করে কাদেরের বিরুদ্ধে। সমনের কাগজ পেয়ে কৃষক কাদের হতবাক। হাইকোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরতে থাকেন কাদের।
অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের লিগাল এইড কমিটি শুনানির জন্য আপিলটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন। বিচারিক আদালতের রায়ের ৩১ বছর পর মঙ্গলবার হাইকোর্টে সেই আপিলের শুনানি হয়। বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আব্দুল কাদেরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড এর প্যানেল আইনজীবী কুমার দেবুল দে।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে যুগান্তরকে বলেন, কারাগার থেকে বের হওয়ার ২৭ বছর পর প্রমাণিত হয়েছে তারা নির্দোষ ছিলেন। আসামিরা আপিল নিষ্পত্তির ব্যাপারে তৎপর না থাকায় এই বিলম্ব হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: