আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জার্মানিতে ‘অবৈধ’ হয়ে পড়া ১ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটির উদ্যোগে দু’টি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৬৭ জনকে ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ দু’বছরের আলোচনায় জার্মানিসহ ইউরোপের দেশে দেশে থাকা অবৈধ বা অনিয়মিত বাংলাদেশিদের ফেরানোর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস-এসওপি) সই হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধরা দেশে ফিরছেন।
গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনের সাইড লাইনে সই হওয়া এসওপি মতে, স্বেচ্ছায় ফিরতে আগ্রহীদের দেশগুলোর নিজস্ব খরচে ঢাকায় পৌঁছানো হচ্ছে। জার্মানিও দু’টি ভাড়া করা বিমানে দু’দফায় মোট ৬৭ জনকে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। আইওএম এর মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ায় দেশটি সহায়তা করছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা দেশগুলোতে বৈধ হওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ায় তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাদের সবাইকে দেশে ফিরতে হবে।
জার্মানিতে সাড়া জাগিয়েছে বাংলাদেশী তরুণীর গবেষণা
পরিবেশবান্ধব বিমান? সেটা আবার কী! এটা ঠিক, পরিবেশ দূষণে এক বড় ভূমিকা রাখছে বিমান। কিন্তু এই খাতে কি এমন কোনো বিমান ব্যবহার সম্ভব যা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না? জার্মানিতে এমন এক গবেষণায় রয়েছেন বাংলাদেশের দেবযানী ঘোষ।
কোনো সাধারণ বিমান নয়, প্রথাগত জ্বালানি ছাড়া উড়তে সক্ষম এক বিমান নিয়ে গবেষণা চলছে জার্মানিতে। ইলেক্ট্রিক এই বিমান তৈরির পেছনে বিশ্বের খ্যাতিমান গবেষকদের সাথে রয়েছেন বাংলাদেশের এক তরুণীর। জার্মানির উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক দেবযানী ঘোষ। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যাটারি সিস্টেম থেকে পাওয়া শক্তিতে চলবে হাইফোর বা এইচওয়াইফোর নামে পরিচিত বিমানটি। এভাবে উৎপাদিত জ্বালানি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না, অর্থাৎ বিমানটি চলার সময় কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ একেবারেই হবে না।
এমন বিমান পৃথিবীতে এটাই প্রথম। জার্মানির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ডিএলআর-এর পৃষ্ঠপোষকতায় হাইফোর বিমান তৈরির প্রকল্পে সম্পৃক্ত রয়েছে উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রফেসর ইয়োসেফ ক্যালো। তার অধীনে কাজ করছেন দেবযানীর মতো বেশ কয়েকজন তরুণ গবেষক। ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে তাদের গবেষণা।
ইতোমধ্যে সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড়াল সম্পন্ন করেছে চার সিটের হাইফোর বিমান। চলছে আরো বড় বিমান তৈরির কাজ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মনে করে, বর্তমানের যে পাঁচটি উদ্ভাবন ভবিষ্যতে বিশ্বকে রক্ষা করবে, তার একটি এই বিমান।
গবেষকদেরও আশা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বল্প দূরত্বে যাত্রী পরিবহনে পরিবেশবান্ধব এই বিমান ব্যবহার সম্ভব হবে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: