![]() |
ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীরা আতঙ্কে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘তারা আতঙ্কে আছেন, তারা ভাবছেন যেদিন পতন হবে সেদিন তাদের কী অবস্থা হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় মোশাররফ হোসেন এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার একটা প্রতারক সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারত জোর করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। কিন্তু তারা এবার নির্বাচন নিয়ে নাক গলাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ সময় ৫ জানুয়ারি মতো একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে রাস্তায় নেমে আসবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সেবার আওয়ামী লীগ বিদেশিদের বলেছিল, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এই নির্বাচন হবে—তিনমাস পর আবার নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা সেটা না করে প্রতারণা করেছে। এখন চীন বলেছে, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচনে এই প্রতারকদের পেছনে কেউ হাঁটবে না।’
খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে ছাড়া আবার ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চাইছে আওয়ামী লীগ, তাই খালেদার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছে, মুক্তি পর আবার গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারণ এই সরকার তো স্বৈরাচার। সেজন্য ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বললে তাদের সহ্য করতে পারে না।’
ঢাকায় খুলনা বিভাগীয় ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি তারেক উজ জামান তারিক, ছাত্রদলের সহসভাপতি আলমগীর হাসান সোহান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান, শামীমুর রহমান শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান।
0 facebook: