আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অবশেষে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেলো
যুক্তরাষ্ট্র। এতে এক যৌথ বিবৃতিকে দুঃখ
প্রকাশ করেছে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেয়া সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন ইরানের
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।
২০১৫ সালে
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখতে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে ছয় বিশ্ব পরাশক্তি। বারাক ওবামার সময় করা ওই
সমঝোতাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে চুক্তি বলে আখ্যা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার
ইরানের সঙ্গে ওবামা শাসনামলে প্রণীত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়ে
ট্রাম্প বলেন, এই চুক্তি একজন নাগরিক হিসেবে ‘লজ্জার’ বিষয়। হোয়াইট হাউজের ডিপ্লোম্যাটিক রুম থেকে দেয়া ওই ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, এটা আমার কাছে স্পষ্ট যে বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু ও পচা চুক্তির
অধীনে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরি ঠেকানো যাবে না। ইরানের সঙ্গে চুক্তির গোড়াতেই গলদ রয়েছে। যদি আমরা কিছু না করি তাহলে কী
ঘটবে তা আমরা জানি।
এমনকি ইরানের
ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যেদেশ ইরানকে পরমাণু অস্ত্র
পেতে সহায়তা করবে তারাও ‘কঠোর অবরোধের’ মধ্যে পড়বে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের
সিদ্ধান্তের জবাবে ইরান জানিয়েছে, পরমাণু শক্তি ও অস্ত্র তৈরি
প্রধান উপাদান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি
বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা তাদের প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।
তিনি বলেন,
আমি ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থাকে প্রয়োজন পড়লে প্রস্তুত
থাকার নির্দেশ দিয়েছি। যাতে কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আমরা শিল্প পর্যায়ে আমাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ
শুরু করতে পারি। তবে রুহানি বলছেন, তিনি আরও ‘কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা’ করবেন। ওই পরমাণু চুক্তির বিষয়ে প্রথমে মিত্র ও অন্যান্য স্বাক্ষরকারী পক্ষের সঙ্গে
আলোচনা করবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
ট্রাম্পের ওই
ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক বিবৃতিতে তিনি এটিকে ‘গুরুতর ভুল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য,
এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে ছয় জাতির
একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রয়েছে ব্রিটেন,
ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: