আরব নিউজের খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। দেশটির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া খসড়া আইনটিতে যৌন নিপীড়নের সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও তিন লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এখন সৌদি বাদশা এ নিয়ে ডিক্রি জারি করলে খসড়া আইনে পরিণত হবে।
এ উদ্যোগের ফলে সৌদি আরবে একটি বড় আইনি শূন্যতা পূরণ হলো। যৌন হয়রানি রোধে এটি একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুরা কাউন্সিলের সদস্য লতিফা আল-শালান বলেন, সৌদির ইতিহাসে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এর ফলে আইনে এত দিন যে বিশাল ফাঁক ছিল, তা পূরণ হলো। আরেক সদস্য লিনা আল-মায়েনা বলেন, মৌখিক ও যন্ত্রের মাধ্যমে হয়রানি-উভয় ক্ষেত্রে আইনটি প্রযোজ্য হবে।
শুরা কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামের বিধিবিধানে থাকা ব্যক্তির গোপনীয়তা, মর্যাদা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং ভুক্তভোগীকে সুরক্ষা দেওয়া এ আইনের লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সৌদি আরবে ৭৮ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার। পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে সৌদি সরকার এমন পদক্ষেপ নিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদিতে প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২০৩০ সাল নাগাদ তেলনির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতি বহুমুখী করতে সৌদি আরবে পরিচালিত হচ্ছে নানা সংস্কার। ৩২ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ বিন সালমানের সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আধুনিকীকরণের নানা প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত বছর নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত এ বছরের ২৪ জুন থেকে কার্যকর হবে।
সম্প্রতি সাতজন নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সৌদি যুবরাজের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা শুরু চলছে। সৌদির সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি অপশক্তির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে ওই নারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: