আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ঘটনাটি ফ্রান্সের ব্রিটানি টাউনে। বাড়িটি অনেকদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরিত্যক্ত বাড়িটি সংস্কার কাজের জন্য ভাঙতে গিয়ে সবার চোখ কপালে ওঠে। সামনে চলে আসে রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রা।
বাড়িটির মালিকের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। 'ব্র্যাট আইসল' নামে একটি সংস্থা বাড়িটি ভাঙ্গার কাজ হাতে নেয়। ফরাসি আইন অনুযায়ী বাড়ির মালিক ও আবিষ্কর্তা সমান দুই ভাগে পাবে।
গুপ্তধনের আবিষ্কারক 'ব্র্যাট আইসল' সংস্থার কর্তা লরেন্ট লে বিহান এএফপিকে জানান পুরো ঘটনা। তিনি জানান, বাড়ির মালিক কয়েকদিন আগে বাড়িটি ভাঙ্গার কাজ তার সংস্থাকে দেন। অনেক বছর ধরেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। বাড়িতে কোন লোকজন থাকতো না। বাড়ির কোন সংস্কার না করায় প্রায় ভঙ্গুর অবস্থা ছিল বাড়িটি।
কয়েকদিন আগে বাড়িটি ভাঙতে যায় সংস্থার লোকজন। ভাঙ্গার সময় একজন কর্মী দেখতে পান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এক কামানের গোলা। কৌতূহলবশতঃ হাতে নেন কামানের গোলাটি। হাতে নিয়ে বুঝতে পারেন ভিতরে কিছু আছে। ভেঙ্গে দেখেন, পুরো ৬০০টা বেলজিয়ান সোনার কয়েন।
কয়েনের এক পিঠে লিখা ১৮৭০ সাল, অন্য পিঠে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের ছবি। বেলজিয়ামের এই ৬০০ গোল্ড কয়েনের মূল্য এক লাখ ইউরো। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ কোটি টাকা।
আপাতত কয়েনগুলো ফ্রান্স প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আছে। বাড়ির মালিক ও সংস্থার মধ্যে কয়েকদিন পর ওই মূল্যমানের সমান অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: