স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে শনিবার ঈদুল ফিতর। সেদিক দিয়ে আর মাত্র দুই দিন পরেই ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জামাতে নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ এলাকায়। আর রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহে দেশের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
এক সঙ্গে ৮৪ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুব্যবস্থা করে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ। এর মধ্যে পাঁচ হাজার নারী মুসল্লির জন্য পৃথক নামাজের জায়গা থাকছে। এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জাতীয় ঈদগাহের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে জাতীয় ঈদগাহে বসেই নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা।
প্রতিবছর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, মেয়র সাঈদ খোকনসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।
ঈদের জামাতে যেনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুরো ঈদগাহ এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটর করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। থাকছে আর্চওয়ে গেট ও নিরাপত্তা বেষ্টনি।
এবার বর্ষা মৌসুমের সময় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে, তাই হাল্কা বৃষ্টিতেও যেনো নামাজ আদায়ে বাধার সৃষ্টি না হয় সেজন্য বৃষ্টির পানি রোধে দুই লাখ ৭০ হাজার ২৭৭ দশমিক ৭৫ বর্গফুট ত্রিপল টাঙানো থাকবে। এছাড়াও ৩১ হাজার ২৬৩ দশমিক ৬১ বর্গফুট ছামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের জন্য ১৪০টি অজুখানা থাকছে। এছাড়া পানির ট্যাব থাকবে ১০০টি, জায়নামাজ বিছানো থাকবে ৬০টি। মুসল্লিদের প্রবেশর জন্য ৩টি গেট থাকবে।
প্রত্যেক গেটের সামনেই থাকবে লোকেশন ম্যাপ। মুসল্লিরা শুধু জায়নামাজ নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করবেন এমন নির্দেশনা বরাবরই দেওয়া থাকে। এবারও ঈদগাহের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সর্বশেষ অবস্থা জানাবেন মেয়র সাঈদ খোকন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হবে প্রস্তুতির বিষয়ে।
জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ডিএসসিসি’র অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, আমরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ করেছি। যে পাঁচ ভাগ বাকি আছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলব। তাছাড়া বসার প্রস্তুতির শেষ দিকে জাতীয় ইদগাহ। শাকিল আহমেদ জন্য ত্রিপল বিছানোর কাজ চাঁদ দেখার পর সন্ধ্যার মধ্যেই করে দিব।
বৃষ্টি হলে নামাজ আদায় করতে সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নরমাল বৃষ্টি হলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে যদি সারারাত ভারী বর্ষণ হয় সেক্ষেত্রে নামাজ আদায় করা কঠিন হয়ে যাবে। তাছাড়া নামাজের আগ মুহুর্তে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও কোনো সমস্যা হবে না। কেননা পানি নিষ্কাশনের সেই ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: