স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদের দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। এরপর তাঁরা ভুখা মিছিল করেন।
আজ শনিবার ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ আদায় শেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তার কিছু পর ভুখা মিছিল বের করেন শিক্ষকরা।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় আমরা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ঈদের নামাজ আদায় করি। এরপর বেলা ১১টায় ভুখা মিছিল বের হয়। এদিন শিক্ষকরা মিষ্টিমুখও করবেন না।’
এই শিক্ষকনেতা বলেন, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবি, গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সেটা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, শিক্ষকরা ঈদ উদযাপন করার অবস্থায় নেই। তাই ঈদের জন্য ভুখা মিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
বিনয় ভূষণ রায় আরো বলেন, এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট বক্তব্য বা গেজেট প্রকাশের আগে শিক্ষকরা রাজপথ ছাড়বেন না। এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন না করে, কারা এর বিরুদ্ধে কাজ করছে, সেটা পরিষ্কার হওয়া জরুরি।
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, নতুন অর্থবছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।
কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে তিনি নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। যদিও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা থেকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে।
এবারের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের জন্য ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে খাতওয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। তবে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কারিগরি বিদ্যালয় ও কলেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: