24 June 2018

তুরস্কের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তুরস্কের পার্লামেন্টারি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছেসারা দেশে ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন নিবন্ধিত ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৫ টি ব্যালট বাক্সে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেনস্থানীয় সময় সকাল ০৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়যা চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্তখবর আনাদলু এজেন্সির

ভোট কেন্দ্রতে ছবি বা ভিডিও করা যায় এমন কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে

প্রত্যেক ভোটারকে একটি খামে দুটি আলাদা ব্যালট পেপার দেয়া হয়একটি প্রেসিডেন্ট ও অন্যটি পার্লামেন্টারি নিবার্চনের ভোটভোট শেষ হওয়ার পরে, রাষ্ট্রপতি প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট প্রথম গণনা করা হবে

নির্বাচনে মোট আটটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেপ্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছয়জনতারা হচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও একে পার্টির প্রার্থী রজব তাইয়্যেব এরদোগান, সিএইপপির মুহাররেম ইনজে, ইয়ি পার্টির মেরাল আকসেনার, কুর্দিদের সমর্থিত এইচডিপির সালাদিন দেমিরতাশ, ভাতান পার্টির ডোগু পেরিনজেক এবং সাদাত পার্টির তেমেল কারামুল্লাউলুতবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং মুহাররেম ইনজের মধ্যে

তুরস্কের ইতিহাসে এবারই প্রথম জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোএরদোগানের একেপির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্সে রয়েছে একে পার্টি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি এবং ইসলামি জাতীয়তাবাদী দল বুয়ুক বির্লিক পার্টিঅন্যদিকে সিএইচপির নেতৃত্বে গঠিত জোট নেশন অ্যালায়েন্সে রয়েছে সিএইচপি, ইয়ি পার্টি, ইসলামপন্থী দল সাদাত পার্টি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি

জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের এগিয়ে থাকার আভাস মিলেছেতবে কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশ না পেলে আগামী ৮ জুলাই শীর্ষস্থান দখল করা দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হবেতবে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে তার দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একেপি)পার্লামেন্টে আসন পেতে হলে কোনো দলকে সারা দেশে প্রদত্ত ভোটের ১০ শতাংশ পেতে হবেতবে দলগুলো যেহেতু জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সে কারণে জোটগুলোকেই এখন ১০ শতাংশ ভোটের টার্গেট পেরুতে হবে

১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন এরদোগানতুরস্কে প্রেসিডেন্ট শাসিত শাসন ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে গত বছরের ১৬ এপ্রিল সাংবিধানিক পরিবর্তন আনতে গণভোটের আয়োজন করেন তিনিসেই গণভোটেই দেশে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালুর বিষয়টি অনুমোদন লাভ করেসাংবিধানিক এই পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হওয়া নামমাত্র ক্ষমতার মালিক প্রেসিডেন্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হবেননতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০১৯ সালের নভেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও এরদোগান নির্ধারিত সময়ের বছরখানেক আগেই নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনসেই নির্বাচন আজ হতে যাচ্ছেএই নির্বাচন ভোটারদের কাছেও খুবই গুরুত্বপূর্ণকেননা তুরস্কের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিচ্ছেন তারাআর এই নির্বাচনের মাধ্যমে তুরস্কে একটি স্থায়ী শাসন কাঠামোর ভিত রচিত হবে



শেয়ার করুন

0 facebook: