![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রথম স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় প্রধান
পরিকল্পনাকারী শোভা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ জুন)
সকালে ভৈরব থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন।
সিদ্ধিরগঞ্জে
স্বামীর দ্বিতীয় সংসারের বিরোধের জের ধরে প্রথম স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে
হত্যার পর তাদের মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল পুকুরে। ওই কিলিং মিশনে ছিল স্বামী মাসুদ দেওয়ান, দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও চাচাতো শ্যালক সবুজ ওরফে সোহেল।
গত রোববার (২৪ জুন)
বিকেলে কিলিং মিশনে থাকা গ্রেফতার সবুজ ওরফে সোহেল নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানববন্দি দেন। এছাড়া অপর ঘাতক স্বামী মাসুদ
দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার দক্ষিণ শাশা আলী এলাকার
খলিলুর রহমানের ছেলে মাসুদ দেওয়ান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা
আক্তার ও চাচাতো শ্যালক নেত্রকোনার খালিয়াজুরী থানার ফতুয়া এলাকার স্বপন মিয়ার
ছেলে সবুজ ওরফে সোহেল।
নিহতরা হলেন- মাসুদের
স্ত্রী নোয়াখালীর সেনবাগের পদুয়া এলাকার আঞ্জুবী আক্তার (২৮) ও তার দুই মেয়ে ৭ বছর
বয়সী মাঈদা আক্তার ও ১৫ মাস বয়সী মাহি।
এর আগে ১১ জুন
বিকেল ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ভাঙ্গারপুল এলাকার ডিএনডি ইরিগেশন খালের পাশ থেকে
ড্রামের মধ্যে আঞ্জুবী আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর গত ১৬ জুন ঈদের দিন আটি হাউজিংয়ের আলী
মোহাম্মদের মাছের খামারে ভাসতে থাকা বস্তাবন্দি অবস্থায় ১৫ মাস বয়সী শিশু মাহির
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৮ জুন আটি এলাকার একই খামারে ভাসতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে হাত পা বাঁধা
অবস্থায় শিশু মাহিদার (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. শরফুদ্দিন জানান, ঘাতক সবুজ ওরফে সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দিয়েছে। স্বামী মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অপর ঘাতক দ্বিতীয় স্ত্রী শোভাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: