বুধবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিন কেরোয়া ইউনিয়নের
মোল্লার হাট এলাকার আসকর বরকন্দাজ বাড়িতে। অভিযুক্ত আব্দুল কাহার সেলিম কেরোয়া ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড
যুবলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন আহত তাজুল ইসলাম বলেন, চার ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। সাড়ে তিন বছর আগে সৌদি আরব
গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বাড়ী ফিরে আসে সে।
বেকার অবস্থায়
স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং মেম্বারপ্রার্থী হয়। গত তিন বছর থেকে বিভিন্ন তুচ্ছ
ঘটনায় কয়েকবার আমাকে, আমার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে আসছে।
তিন মাস আগে
আমাদেরকে সাতদিন বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। সে প্রায় সময় বন্ধুদের সঙ্গে নেশা করে বাড়িতে আসে। বুধবার দুপুরে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে তা কোথায়
হারিয়ে গেছে বললে আমাকে বেদম মারধর করে এবং গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা
চালায়।
এ সময় বাধা
দিলে আমার স্ত্রী আমেনা বেগম ও দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস ইতিকেও
মারধর করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে
সেলিম পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত সেলিম
বলেন, টাকা ও সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মা-বাবার সঙ্গে আমার বিরোধ চলছিল। পাসপোর্ট করার জন্য আমার বাবার
জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করায় আমি উত্তেজিত হই। এতে বাবা আমাকে মারধর করতে
গিয়ে ঘরের ভেতরে পড়ে গিয়ে আহত হন।
রায়পুর থানার
এসআই মোজাম্মেল জানান, বাবাকে মারধরের ঘটনাটি দুঃখজনক। বৃদ্ধের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেয়া হচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: