আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গর্ভবতী নারীদের দিয়ে ভায়াগ্রা পরীক্ষার কারণে ১১ নবজাতক মারা গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে নেদারল্যান্ডসে। নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় এরই মধ্যে গর্ভবতী নারীদের ওপর চালানো এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি।
এই গবেষণা চালানো হয় নেদারল্যান্ডসের ১০টি হাসপাতালে। দুর্বল ভ্রূণের শিশুদের বেড়ে ওঠার উন্নতি ঘটাতেই ওষুধটি নিয়ে চালানো হয়েছে এই পরীক্ষা। কিন্তু এতে ফলাফল হয়েছে হিতে বিপরীত। দেখা গেছে, ওষুধটি দেয়ার পর রক্ত প্রবাহ বেড়ে শিশুর ফুসফুসের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে কী ঘটেছে সেটি জানতে বিস্তারিত তদন্তের দরকার। সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়েছে কি না, তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। যদিও এর আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এ ধরনের পরীক্ষার সম্ভাব্য ক্ষতির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারা কোনও সফলতাও পাননি।
আমস্টার্ডম ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারসহ নেদারল্যান্ডসের ১০টি হাসপাতালে এই সমীক্ষা চালানো হয়। মোট ৯৩ জন নারীকে স্লাইডনাফিল (ভায়াগ্রার একটি নন ব্রান্ড নাম) আর নব্বই জনকে ‘ডামি ড্রাগ’ দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০ শিশুর ফুসফুস সমস্যা দেখা দেয় জন্মের পর। যার মধ্যে ১৭ শিশুর মাকেই স্লাইডনাফিল দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই ১১টি শিশুর মৃত্যু হয় ফুসফুস জটিলতায়।
ডাচ সমীক্ষার এমন ফলকে অপ্রত্যাশিত বলেছেন যুক্তরাজ্যের লিভারপুল ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক যারকো আলফায়ারভিচ। তিনি বলেন-‘আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। একটা বিস্তারিত তদন্তও দরকার।’ উল্লেখ্য, গর্ভবতীদের ভ্রূণ বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা একটি গুরুতর অবস্থা; যার বর্তমানে কোনও চিকিৎসা নেই। এর কারণে অনেক অপরিপক্ব শিশুর জন্ম হয়। যাদের ওজন থাকে খুব কম ও তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও হয় অনেক কম।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: