বুধবারের ওই হামলার ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের মুসলিম গ্রুপগুলো এর নিন্দা জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, সতর্ক থাকতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, তারা ওই হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। তারা এটিকে ‘হেট ক্রাইম’ হিসেবে বিবেচনা করছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবেও বলে জানিয়েছে তারা। বার্মিংহামভিত্তিক বাহু ট্রাস্ট জানিয়েছে, আমরা ওই হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি ওয়াকিবহাল না, তবে বল বেয়ারিংগুলোর আকার মার্বেলের মতো ছিল, যা কাউকে হত্যার জন্য যথেষ্ট। এই বাহু ট্রাস্ট বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ মসজিদ পরিচালনা করে।
হেট ক্রাইম মনিটর টেল মামা ইউকে ওই দুই মসজিদে ‘গুলতি দিয়ে হামলার কঠোরভাবে নিন্দা’ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে একটি গাড়ি ঢুকে যাওয়ার পর পুলিশ বার্মিংহাম থেকে ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সন্ত্রাসী হামলা সন্দেহে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পরই মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটলো। আল-হিজরাহ মসজিদের একজন মুসল্লি নাভিদ সাদিক বলেন, আমার মনে হয় লন্ডনে যা ঘটেছে সেটির সঙ্গে এই হামলার ‘সংযোগ’ রয়েছে।
গেল মাসে টেল মামা জানায়, ব্রিটেন ও অন্যান্য দেশে হামলার ঘটনার পর ইসলামোফোবিক ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা জানাচ্ছে, ২০১৭ সালের মে মাসে ম্যানচেস্টার অ্যারিনায় মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে হামলায় ২২ জন নিহত এবং আর কয়েকশ ব্যক্তি আহত হওয়ার পর মুসলিম বিদ্বেষ ৭০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: