25 August 2018

সাপ আতঙ্কে ভীত কেরালাবাসী


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ন্যার পানি কমছে ভারতের কেরালায়। ধীরে ধীরে নিজ গৃহে ফিরছেন রাজ্যের বাসিন্দারা। এদিকে পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। বাকি রয়েছে রাজ্যের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার কষ্ট ও ব্যয়সাধ্য কাজ। এর মধ্যে রাজ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নতুন এক আতংকের। এই আতঙ্কের নাম সাপ।

বন্যা বিধ্বস্ত কেরালায় সাপের উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে।  শোওয়ার ঘর, রান্নাঘর, রাস্তাসহ প্রায় পুরো রাজ্যের সকল জায়গায়ই দেখা মিলছে বিষধর সাপের। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বাসিন্দাদের সাপের উপদ্রব সম্পর্কে সতর্ক করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে চারদিক ডুবে যাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীও খুব সঙ্কটে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তাই  সাঁতরে তারা ঢুকে পড়ছে মানুষের ঘরে। এর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যে, ঘরের কাপবোর্ড, কার্পেট এমনকি কাপড় ধোঁয়ার মেশিনের ভেতরও লুকিয়ে থাকতে পারে গোখরার মতো বিষধর সাপ।

বিভিন্ন অঞ্চলে  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে সাপ ধরার বিশেষ বাহিনী। হাসপাতালে প্রস্তুত করা হচ্ছে  সাপের বিষ-বিরোধী ওষুধ।

সম্প্রতি সাপের উপস্থিতির অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার উপরে বিশালাকার এক পাইথন ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখ তুলে পাঁচিলের ওপারে নিরাপদ আশ্রয়ে ঢোকার চেষ্টা আপ্রাণ চেষ্টা তার।

কোনও ভিডিও আরো ভয়ানক। দেখা যাচ্ছে, জল সাঁতরে বিশালাকার একটি বিষধর সাপ একটি বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। কোনটায় ঘর থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে একটি গোখরোকে। বাধ্য হয়েই মানুষ লাঠি হাতে সাপ তাড়াচ্ছেন কোথাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এক নারীকে লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে শব্দ তৈরি করে প্রায় তিন মিটার লম্বা একটি অজগরকে তার বাগান থেকে তাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে।

প্রিয়ঙ্কা কদম নামে এক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মী জানান, আতঙ্কিত বহু মানুষ ফোন করছেন আমাদের। সব জায়গায় যাওয়া হয়ত সম্ভব হচ্ছে না। এই সময় কী করা উচিত এবং কী উচিত নয়, তা বোঝাচ্ছি তাঁদের।

স্থানীয় সরকার থেকে বলা হয়, বন্যার কারণে সাপ-বিচ্ছুসহ অনেক বিষাক্ত পোকমাকড় মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

স্থানীয় সাপুড়ে বাবা সুরেশ হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ইরনাকুলাম জেলা থেকে তিনি এখন পর্যন্ত পাঁচটি কোবরা ধরেছেন। তিনি জানান, একটি বাড়ির দোতালার এক ওয়ারড্রবের ভেতর থেকে তিনি একটি সাপ ধরেছেন। আরেকটি ধরেছেন এক তাকের উপর থেকে।

উল্লেখ্য, গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত বন্যায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। -বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকা


শেয়ার করুন

0 facebook: