তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ার বেশকিছু কারণ আছে। সরকারের বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প, বিশেষ করে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্লান্ট আমদানির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।’
‘গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঘাটতি পূরণে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। ভোক্তার সক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমরা প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার রফতানি করি, কিন্তু তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রফতানি করতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করি। অথচ, তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রফতানি করতে পারে না। তাই বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই যে খারাপ তা বলা যাবে না।’
মন্ত্রী জানান, সরকার ভেষজ দ্রব্য রফতানি বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেশন ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০১৭-১৮ সালে ৮৬ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারের ভেষজ দ্রব্য রফতানি করা হয়।
এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ১৬৫টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই ও আগস্ট মাসে সৌদি আরবে ২৭ হাজার ৮১১ জন এবং মালয়েশিয়ায় ৩৪ হাজার ৮৮১ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ।
0 facebook: