ফাইল ছবি |
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছ থেকে তিনটি প্রশ্নের জবাব আমি এখনো পাইনি। এগুলো হলো— ’৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর তার হত্যাকারীদের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে বিএনপি কেন ইনডেমনিটি দিয়েছিল? বাংলাদেশে বিনা পয়সায় যে সাবমেরিন কেবল আসার কথা, বিএনপি কেন তা প্রত্যাখ্যান করেছিল? এবং বেগম জিয়ার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষিত হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে হঠাৎ করে গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা কেন বাদ দিয়েছিল তারা?
এরপর তিনি নিজেই একটি প্রশ্নের উত্তর দেন। বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় ছিল কেউ দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হলে, উন্মাদ হলে, দেউলিয়া হলে, সামাজিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণিত হলে তিনি বিএনপির নেতা হতে পারবেন না। বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে এই ধারা দিয়েছে। এগুলো বাদ দেয়ার কারণ তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ।’
বিএনপি মহাসচিবের জাতিসংঘে যাওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘জাতিসংঘ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ফোরাম। তাদের আমন্ত্রণে বিএনপি যেতেই পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আমরা এখানেই সমাধান করব। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে আমাদের চাপ দিতে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের ভিত্তি জনগণ এবং আমাদের শেকড় দুর্বল নয়। আমাদের গণভিত অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া আমরা অন্য কারো চাপের কাছে নতিস্বীকার করব না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. আনোয়ার হোসেন খান, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফজলুর রহমান রহমান প্রমুখ।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: