আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতীয় দণ্ডবিধির পরকীয়া সংক্রান্ত আইপিসি ৪৯৭ ধারাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পরকীয়া অপরাধ নয় জানিয়ে এ সংক্রান্ত ১৫৮ বছরের পুরনো একটি আইন বাতিল করে দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। খবর এনডিটিভি।
পরকীয়া মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানউইলকর বলেন, পরকীয়া বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। তবে এটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে না। একই মত জানিয়ে বিচারপতি আরএফ নরিম্যানও বলেন, ৪৯৭ ধারা একটা সেকেলে আইন। এটা অসাংবিধানিক এবং এটি বাতিল করা উচিত।
সর্বোচ্চ আদালত জানায়, পরকীয়া কখনও অপরাধ হতে পারে না। পরকীয়া সম্পর্কের কারণে জীবনসঙ্গী যদি আত্মহত্যা করেন, এবং আদালতে যদি তার প্রমাণ দাখিল করা যায়, তবেই এটি অপরাধে প্ররোচনা হিসেবে গণ্য হবে।
বেঞ্চের আর এক বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই ধারা মহিলাদের সম্ভ্রম ও আত্মসম্মানের পক্ষে ধ্বংসাত্মক। কারণ এই আইন মহিলাকে স্বামীর ভূমিদাস হিসেবে বিবেচনা করে। সর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের একমাত্র মহিলা বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রাও একই মত পোষণ করেন। তিনিও ৪৯৭ ধারাকে অসাংবিধানিক হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, বৈবাহিক সম্পর্কে স্ত্রী কখনওই স্বামীর ছায়া নন।
প্রধান বিচারপতিও একই সুরে বলেছেন, মহিলার ব্যক্তিগত সম্ভ্রম রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী তার প্রভু নন। আইনগতভাবে এক লিঙ্গের থেকে অন্য লিঙ্গকে খাটো করে দেখানোটা ভুল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার এ আইনে বলা ছিল, কোনও ব্যক্তি কোনও বিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে এবং তাতে ওই নারীর স্বামীর অনুমতি না থাকলে পরকীয়ায় লিপ্ত পুরুষের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল, জরিমানা কিংবা উভয়ই হতে পারে। সবশেষ ১৮৬০ সালের আইপিসি ৪৯৭ ধারাকে অসাংবিধানিক বলে জানালেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: